আল ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত আল ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী রচিত -‘আক্বীদাহ সংকলন- গ্রন্থ (৪৩নং পর্ব)

এই অডিওটি আশ্‌শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্ আল ‘উছাইমীন o কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী o এর সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ “লুম‘আতুল ই‘তিক্বাদ” এর ধারাবাহিক অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় অডিওরূপে এটি ভাষান্তর করেছেন উছ্‌তায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ c। এতে ছালাফে সালিহীনের (4) আক্বীদাহ-বিশ্বাসের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।  আহলুছ্ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘উলামায়ে কিরামের চিরাচরিত স্বভাব–বৈশিষ্ট্যও হলো যে, তারা তাদের লিখনীর মাধ্যমে সর্বাগ্রে বিশুদ্ধ ইছলামী ‘আক্বীদাহ সংরক্ষণ এবং তা প্রচার ও প্রসার করে থাকেন।  বক্তব্যের এ পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c ‘ঈছা (5) এর আগমন, ইয়া’জূজ-মা’জূজ ও যুলক্বারনাইন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। আলোচনার সারসংক্ষেপ নিম্নরূপঃ
১) ‘ঈছা 5 এর আগমন হবে ক্বিয়ামাতের একটি অন্যতম ‘আলামত। তিনি পৃথিবীতে আগমনের পর যে কাজগুলো করবেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো:-

ক) আবূ হুরায়রা 3 হতে বর্ণিত হাদীছ থেকে জানা যায় যে, ‘ঈছা 5 দ্বীনে ইছলামকে পরিপূর্ণরুপে প্রতিষ্ঠা করবেন।
খ) অন্য সকল ধর্মকে বিলুপ্ত করে দিবেন।
গ) তিনি ক্রুশগুলোকে ভেঙ্গে ফেলবেন এবং শুকরদের হত্যা করে ফেলবেন।
ঘ) তিনিই দাজ্জালকে হত্যা করবেন।
ঙ) তিনি মানুষের মাঝে শান্তি ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।
চ) মুছনাদে আহ্‌মাদে বর্ণিত হাদীছ থেকে জানা যায় যে, তার শাসন আমলে পৃথিবী জুড়ে সুখ, শান্তি ও বারাকাত নেমে আসবে।

২) ছুনানুন্‌ নাছায়ীতে বর্ণিত হাদীছ থেকে জানা যায় যে, মুছলিমদের মধ্য হতে দু’টি দল জাহান্নাম থেকে নাজাত লাভ করবে। দল দু’টি হলো-

ক) সেইসব মু’মিনগণ যারা হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন
খ) সেইসব ঈমানদারগণ যারা ‘ঈছা 5 এর পক্ষ নিয়ে যুদ্ধ করবে।

৩) ‘ঈছাকে (5) পুণরায় দুনইয়াতে পাঠানোর পিছনে আল্লাহ্‌র (0) যেসব হিকমাহ রয়েছে তন্মধ্যে মাত্র কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

ক) ইহুদীরা যে তাকে হত্যা করার দাবি করে, সেই দাবিকে বাত্বিল প্রমাণিত করা।
খ) তিনি নিজে মুহাম্মাদ 1 এর উম্মাত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, তাঁর সেই আগ্রহকে বাস্তবায়িত করা।
গ) তাঁকে যেন দুনিয়াতেই দাফন করা যায় সে ব্যবস্থা করা।

৪) ক্বিয়ামাতের অন্যতম আরেকটি ‘আলামাত হচ্ছে ইয়া’জূজ ও মা’জূজের আত্মপ্রকাশ।

ক) ক্বোরআন ও হাদীছ উভয় স্থানেই এদের বর্ণনা রয়েছে।
খ) এরা দুন্‌ইয়াতে বিদ্যমান আছে এবং এরা আদম সন্তানেরই অন্তর্ভুক্ত।
গ) জাহান্নামের প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে ৯৯৯ জন হবে ইয়া’জূজ-মা’জূজ সম্প্রদায়ের।
ঘ) এদের অবস্থান উত্তরাঞ্চলের পাহাড় পর্বত পরিবেষ্টিত স্থানে। যুলক্বারনাইন এদেরকে লৌহ নির্মিত শীসাঢালা প্রাচীর দিয়ে বন্দি করে রেখেছেন।
ঙ) ক্বিয়ামাতের পূর্বে এরা সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে।
চ) পরিশেষে এক প্রকার পোকার আক্রমনে এরা একযোগে মৃত্যুবরণ করবে।

৫) যুলক্বারনাইন- পৃথিবীর ইতিহাসে মাত্র চার জন ব্যক্তি সমগ্র পৃথিবীর রাজত্ব পেয়েছেন, যুলক্বারনাইন তাদেরই একজন। যুলক্বারনাইন একটি উপাধি। এর অর্থ- দুই গুচ্ছ ওয়ালা। তিনি মুছলিম ও সৎকর্মশীল লোক ছিলেন। তাঁর সময়কাল ছিল খ্রিস্টীয় ২০০০ বছর পূর্বে। তাঁর উজির ছিলেন খিজির 5

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
১) দ্বীনী বিষয়ে ভিত্তিহীন আর বিভ্রান্তিকর যে কথাগুলো সমাজে ছড়ায়, (যেমন- আলেকজান্ডার বা সাইরাসকে “যুল ক্বারনাইন” বলে অভিহিত করা, চীনের মহাপ্রাচীরকে “যুল ক্বারনাইন এর প্রাচীর” বলে আখ্যায়িত করা, কিংবা দাজ্জাল বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে আছে বলে প্রচার করা ইত্যাদি) এধরনের মিথ্যাচার সমাজে ছড়ানোর পিছনে কারণই বা কি, আর মুছলিম উম্মাহ আগামীতে এমন মিথ্যাচারের ব্যাপারে কিভাবে সতর্ক ও সাবধান হবে?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close