আল ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত আল ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী রচিত -‘আক্বীদাহ সংকলন- গ্রন্থ (৩৭নং পর্ব)

এই অডিওটি হলো আশ্‌শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন o কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী o এর সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ “লুম‘আতুল ই‘তিক্বাদ” এর ধারাবাহিক অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় অডিওরূপে এটি ভাষান্তর করেছেন উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c। এতে ছালাফে সালিহীনের (4) ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাসের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। আহলুছ্‌ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘উলামায়ে কিরামের চিরাচরিত স্বভাব–বৈশিষ্ট্যও হলো যে, তারা তাদের লিখনীর মাধ্যমে সর্বাগ্রে বিশুদ্ধ ইছলামী ‘আক্বীদাহ্‌র সংরক্ষণ এবং তা প্রচার ও প্রসার করে থাকেন। বক্তব্যের এ পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c বিশেষ করে ক্বাযা ও ক্বাদ্‌র সহ নিম্নোক্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন:-
১) প্রাণ হরণকারী ফিরিশতা ও মূছা 5 এর মধ্যকার অসাধারণ একটি ঘটনা উছতায আলোচনা করেছেন।
২) এই ঘটনাটিকে ‘আক্বীদাহ অধ্যায়ে, বিশেষ করে “অদৃশ্য বিষয়ে ঈমান পোষণ” অধ্যায়ে উল্লেখ করার কারণ হলো- “একজন নাবীর দ্বারা তাঁর থেকে অনেকগুণ বেশি শক্তিশালী একজন ফিরিশতাকে আঘাত করা অসম্ভব” এই যুক্তিতে কতিপয় বিদ‘আতী বিশুদ্ধ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত এই ঘটনাকে অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করে থাকে।
অথচ এই সংশয় পোষণকারীদের জানা উচিত ছিল যে, প্রাণ হরণকারী ফিরিশতা মূছা 5 এর নিকট তাঁর প্রাণ হরণের বিষয়ে কথা বলতে মানুষের আকৃতিতে এসেছিলেন, ফিরিশতার আকৃতিতে নয়। মূছা 5 তাঁকে চিনতে না পেরে, তাঁকে আক্রমনকারী ভেবে নিজের আত্মরক্ষার জন্য আঘাত করেছিলেন। যদি তিনি জানতেন যে, ইনি হচ্ছেন আল্লাহ্‌র একজন ফিরিশতা, তাহলে তিনি তাকে কক্ষনো আঘাত করতেন না।
শাইখ হাম্মাদ বিল্লাহ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সবিস্তার আলোচনা করেছেন।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
ক) আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে কারো মুখমন্ডলে আঘাত করা কি জাইয? যদি তাই হয়, তাহলে রাছূলুল্লাহ 5 এর নিম্নোক্ত হাদীছ দু’টিকে আমরা কিভাবে ব্যাখ্যা করব?

(১) রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- মুখমন্ডলে আঘাত করো না এবং “মুখমন্ডল বিশ্রি হয়ে যাক” বলে বদদো‘আ করো না।
(২) রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- যদি কেউ তার মালিকানাধীন দাঁস বা দাঁসীর মুখে চড়-থাপ্পড় মারে কিংবা তাকে আঘাত করে, তাহলে এর কাফ্‌ফারা হলো ঐ দাস বা দাসীকে মুক্ত করে দেয়া।

খ) ইবনু হাজার ‘আছক্বালানী সংকলিত এবং দারুছ ছালাম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বুলূগুল মারাম (যার ইংরেজী নাম হলো “Attainment of the Objective Accordingly to the Ordinances”) কিতাবটি ঢাকার একটি বইয়ের দোকানে যেখানে কোন উপলক্ষ ছাড়াই ২০%-৩০% ছাড়ে বিক্রি করা হয়, সেখানে ২১শে ফেব্রুয়ারী (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস) উপলক্ষে বইটি ১০% ছাড়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

আমার প্রশ্ন হলো- এ বইটি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বর্তমান (১০% ডিসকাউন্ট এর) সুযোগ শেষ হওয়া পর্যন্ত কি আমার অপেক্ষা করা উচিত, না-কি এখনই বইটি কেনা উচিত? আমার কাছে ফিক্বহের কিছু কিতাব আছে, তবে তাওহীদ বিষয়ক কিতাব আছে মাত্র দুটি।
শাইখ!‘আক্বীদাহ বিষয়ক কিতাবাদী বেশি বেশি অধ্যয়ন করতে হবে, না-কি হাদীছ বিষয়ক কিতাবাদী, আপনার পরামর্শ ও নির্দেশনা কি?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close