ড. আশ্‌ শাইখ সালিহ্‌ আল ফাওযান কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম আল বারবাহারী রচিত “শারহুছ্ ছুন্নাহ (ছুন্নাতের ব্যাখ্যা)” (৪৮তম পর্ব)

এটি মুহ্‌তারাম আশ্‌শাইখ সালিহ্‌ আলফাওযান (o) কর্তৃক আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের প্রখ্যাত ইমাম- ইমাম আল বারবাহারী (o) এর অনবদ্য গ্রন্থ “শারহুছ্‌ ছুন্নাহ” এর অতি চমৎকার ও মূল্যবান ব্যাখ্যাগ্রন্থের অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় গ্রন্থটি ধারাবাহিকভাবে অডিও ভাষান্তর করছেন উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ (c)। অদ্যকার আলোচনায় উছতায- হাশ্‌রের মাঠের শাফা‘আত বা সুপারিশ সংক্রান্ত বিষয়ে মূল্যবান আলোচনা করেছেন। এছাড়াও তাতে নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে অত্যন্ত চমৎকার আলোচনা করা হয়েছে:-
১) শাফা‘আতের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- কোনো বিজোড় বিষয়কে জোড় করা। এখানে, শাফা‘আতকারীর সাথে শাফা‘আতকৃত ব্যক্তির একটি জোড় বা মিল হয়ে যায়। এজন্যই একে শাফা‘আত বলা হয়। শারি‘য়াতের পরিভাষায়, অন্যের উপকার করার জন্য বা অপরকে অনিষ্ট থেকে রক্ষা করার জন্য সুপারিশ করা।
২) শাইখ ‘উছাইমীন o বলেন, শাফা‘আত মূলতঃ দুই প্রকারঃ-

ক) শাফা‘আতে সাহিহাহ বা সঠিক শাফা‘আত। যে শাফা‘আতের মধ্যে ৩টি শর্ত পাওয়া যাবে, সেটাই সঠিক বলে গণ্য হবে। শর্ত ৩টি হলো-

(এক) যিনি সুপারিশ করবেন, তার প্রতি আল্লাহ্‌র (0) সন্তুষ্টি থাকতে হবে।
(দুই) যার জন্য সুপারিশ করা হবে, তার প্রতি আল্লাহ্‌র (0) সন্তুষ্টি থাকতে হবে। (এই শর্তটি শাফা‘আতে ‘উজমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
যেমন, আল্লাহ্‌ 0 ইরশাদ করেছেন- وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ارْتَضَى وَهُمْ مِنْ خَشْيَتِهِ مُشْفِقُونَ
অর্থাৎ- তাঁরা কেবল তাদের জন্য সুপারিশ করবেন যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্টি আর তারা তাঁর ভয়ে ভীত-শঙ্কিত।ছূরা আল আম্বিয়া -২৮
(তিন) সুপারিশকারীকে সুপারিশ করার জন্য (আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে) অনুমতিপ্রাপ্ত হতে হবে। যেমন, আল্লাহ্‌ 0 ইরশাদ করেছেন-

وَكَمْ مِنْ مَلَكٍ فِي السَّمَاوَاتِ لَا تُغْنِي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا إِلَّا مِنْ بَعْدِ أَنْ يَأْذَنَ اللَّهُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَرْضَى

অর্থাৎ- আকাশে কতই না ফিরিশতা আছেন তাদের সুপারিশ কোনই কাজে আসবে না, তবে (কাজে আসবে) যদি আল্লাহ অনুমতি দেন যার জন্য তিনি ইচ্ছে করবেন এবং যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট।ছূরা আন্‌ নাজম- ২৬
অন্যত্র আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন-

يَوْمَئِذٍ لَا تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَرَضِيَ لَهُ قَوْلًا

অর্থাৎ- দয়াময় যাকে অনুমতি দেবেন আর যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন তার (সুপারিশ) ব্যতীত সেদিন কারো সুপারিশ কোন কাজে আসবে না ।ছূরা ত্বা-হা- ১০৯

খ) শাফা‘আতে বাত্বিলাহ বা বাত্বিল শাফা‘আত। যে শাফা‘আত মুশরিকরা তাদের দেব-দেবীর কাছে করে থাকে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন- فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
অর্থাৎ- তখন সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন কাজে আসবে নাছূরা আল মুদ্দাছ্‌ছির- ৪৮
যারা শিরক ও কুফর করে, তাদেরকে সুপারিশ করতে দেওয়া হবে না এবং তাদের জন্যও কোনো সুপারিশ কাবূল করা হবে না।

৩) ক্বিয়ামাতের দিন শাফা‘আত প্রধানতঃ তিন প্রকার হবে-

ক) শাফা‘আতুল ‘উজমা। হাশ্‌রের বিচারকার্য শুরু করার জন্য যে শাফা‘আত করা হবে।
খ) জান্নাতবাসীদের জন্য সুপারিশ করা হবে। যাতে তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে।
গ) যারা জাহান্নামে নিপতিত হওয়ার যোগ্য বা জাহান্নামে নিপতিত হয়ে গেছে, তাদেরকে উদ্ধারের জন্য যে শাফা‘আত করা হবে। প্রথম দুই প্রকার শাফা‘আতের ক্ষমতা রাছূলুল্লাহ 1 এর জন্য নির্ধারিত। তার এই মর্যাদাকেই বলা হয় মাক্বামে মাহ্‌মূদ।

৪) জান্নাতীরা যখন সিরাত্ব অতিক্রম করবেন, এরপর তারা আরেকটি (ছোট) ব্রীজ অতিক্রম করবেন। এখানে একজনের বিরুদ্ধে আরেকজনের যে বদলা আছে তা নিয়ে নেওয়া হবে। অতঃপর তাদের জন্য তখনই জান্নাতের দরজা খোলা হবে, যখন রাছূলুল্লাহ 1 জান্নাতের দরজা খোলার জন্য আল্লাহ্‌র নিকট সুপারিশ করবেন। একটি হাদীছে এসেছে, মুমিনগণ যখন জান্নাতের নিকট পৌঁছে যাবে, এরপর তারা জান্নাতের দরজা খোলার জন্য আল্লাহ্‌র নিকট সুপারিশ করার অনুরোধ নিয়ে পর্যায়ক্রমে আদাম k, নূহ্‌ k,ইব্‌রাহীম k, মূছা k, ‘ঈছা k এর নিকট যাবে। তারা প্রত্যেকেই এই ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করবেন। অতঃপর তারা রাছূলুল্লাহ 1 এর নিকট আসবে, তখন তিনি তাদের জন্য আল্লাহ্‌র (0) নিকট সুপারিশ করার অনুমতি প্রার্থনা করবেন। তাকে অনুমতি দেওয়া হলে তিনি (1) জান্নাতের দরজা খোলার জন্য আল্লাহ্‌র (0) নিকট সুপারিশ করবেন। তখন তাঁর সুপারিশে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হবে। 

আনাছ 3 থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদীছ থেকে জানা যায় যে, রাছূলুল্লাহ 1 বলেন- জান্নাতের দরজা ধরে আমি ঝাঁকুনি দেব। তখন বলা হবে- কে? আমি বলবো- মুহাম্মাদ। তখন দরজাটি খুলে দেওয়া হবে। অতঃপর স্বাগত জানানো হবে। অতঃপর আমি ছাজদাহবনত হবো এবং আল্লাহ্‌র (0) প্রশংসা করব। এরপর আল্লাহ 0 ইরশাদ করবেন- আপনি মাথা উত্তোলন করুন এবং যা বলার বলুন। আপনার সুপারিশ কবুল করা হবে।জামি‘উত্‌ তিরমিযী

তৃতীয় প্রকার শাফা‘আত অন্যান্য নাবী-রাছূল, ছিদ্দিকীন, ছালিহীন, শুহাদা ও মালাইকাগণ করতে পারবেন।
৫) শাইখ উছাইমীন o বলেন, আরেকটি শাফা‘আত রাছূলুল্লাহ 1 ছাড়া আর কেউ করতে পারবে না। সেটি হলো- আবু ত্বালিবের জন্য সুপারিশ। যদিও এই বিষয়টি শাফা‘আতের শর্তের বিরুদ্ধে যায়, তবুও এটি রাছূলুল্লাহ এর জন্য খাস তথা নির্দিষ্ট। কারন স্বীয় চাচা আবু ত্বালিব রাছূলুল্লাহ্‌কে (1) নাবুওয়্যাত প্রাপ্তির পর কঠিনতর সময়ে আগলে রেখেছেন। এই কারণেই তার ব্যাপারে করা সুপারিশ আংশিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর এজন্যই আবু ত্বালিবের শাস্তি সকল কাফির-মুশরিকদের চেয়ে কম হবে। সাহীহ্‌ বুখারী ও সাহীহ্‌ মুছলিমে বর্ণিত একটি হাদীছ থেকে জানা যায় যে, আবূ ত্বালিবকেও জাহান্নামে নিপতিত করা হবে। তার পায়ের নীচ দিয়ে অগ্নি প্রবাহিত হবে। আর এর ফলেই তার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে। রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- আমি যদি না হতাম, তবে তার (আবু ত্বালিবের) স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে হত।
৬) আনাছ 3 থেকে বর্ণিত, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন, যে সমস্ত লোক কালিমাহ (লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হ) বলেছে এবং যাদের অন্তরে গমের দানা পরিমাণ ইমান রয়েছে, তারাও একদিন জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে। অপরদিকে যারা শির্‌ক ও কুফ্‌রের উপর মৃত্যুবরণ করবে, তারা কস্মিনকালেও জাহান্নাম থেকে বের হতে পারবে না। এ ব্যাপারে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন-

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا

অর্থাৎ- নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না, এছাড়া অন্যসব যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শরীক করে, সে চরমভাবে পথভ্রষ্ট হলো।ছূরা আন্‌ নিছা- ১১৬
৭) মু‘তাযিলী ও খারিজীরা মনে করে যে, কাবিরাহ গুনাহকারীও চিরস্থায়ী জাহান্নামী। অথচ, আবূ ছা‘ঈদ খুদরী 3 বর্ণিত হাদীছ থেকে জানা যায় যে, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- আল্লাহ্‌র একত্ববাদে বিশ্বাসীরা নাবি-রাছূল ও মালাইকাদের সুপারিশের ফলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। সর্বশেষ আল্লাহ্‌র (0) বিশেষ অনুগ্রহে আরো কিছু মুওয়াহ্‌হিদীন জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। আল্লাহ 0 তার মুষ্টি দিয়ে এমন কিছু লোককে বের করে আনবেন, যারা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাদেরকে জান্নাতের অভিমুখে ‘মা-উল হায়াত’ নামক পুকুরে ফেলে দেওয়া হবে। এর ফলে তাদের দেহ পুনর্গঠিত হবে। অতঃপর তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।
৮) রাছূলুল্লাহ 1 এর সুপারিশের দ্বারা কারা বেশী উপকৃত হবে?
আবূ হুরায়রাহ 3 থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাছূলুল্লাহ্‌কে (1) জিজ্ঞেস করলাম, ক্বিয়ামাতের দিন আপনার সুপারিশের দ্বারা কারা বেশি উপকৃত হবে? তিনি বললেন- আমার মনে হয়েছিল যে, এই ব্যাপারে তুমিই আমাকে সবার আগে জিজ্ঞেস করবে। কারণ, আমার কথাগুলোর প্রতি তোমার আগ্রহের ভিত্তিতেই আমি এই ধারণা করেছিলাম। অতঃপর তিনি বললেন- যে ব্যক্তি একনিষ্ঠভাবে কালিমাহ পড়বে সে-ই আমার সুপারিশের দ্বারা বেশি উপকৃত হবে।সাহীহুল বুখারী
৯) কোন কোন ‘আমাল আমাদের জন্য সুপারিশকারী হবে?

ক) ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর 3 থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- সিয়াম এবং ক্বোরআন ক্বিয়ামাতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। সিয়াম বলবে, হে আল্লাহ! আমি তাকে খানা-পিনা ও প্রবৃত্তি থেকে বিরত রেখেছি। অতএব, তার বিষয়ে আপনি আমার সুপারিশ ক্বাবূল করুন। তেমনিভাবে ক্বোরআনও বলবে যে, আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার বিষয়ে আপনি আমার সুপারিশ ক্বাবূল করুন। তাদের এই সুপারিশ কবুল করা হবে।মুছনাদুল ইমাম আহ্‌মাদ
খ) জাবির ইবনু ‘আব্দিল্লাহ 3 থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- যে ব্যক্তি আযান শুনার পর আযানের দু‘আটি পাঠ করবে, ক্বিয়ামাতের দিন তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যাবে।সাহীহুল বুখারী
গ) আবুদ্‌ দারদা 3 থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় দশবার দুরূদ (দুরূদে ইব্‌রাহীম) পাঠ করবে, ক্বিয়ামাতের দিন সে আমার সুপারিশ লাভ করবে।তাবারানী১০
ঘ) মিক্বদাম 3 থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- শহিদগণের জন্য ৬টি বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো- তিনি স্বীয় আত্মীয়দের মধ্যে থেকে ৭০ জনের জন্য সুপারিশ করতে পারবেন।জামি‘উত্‌ তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মুছনাদুল ইমাম আহ্‌মাদ১১
ঙ) ইবনু ‘আব্বাছ থেকে বর্ণিত, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- কোনো মুছলিম ব্যক্তি ইন্তিক্বাল করলে, তার জানাযায় যখন এমন ৪০ জন লোক অংশগ্রহণ করে, যারা কখনো শির্‌ক করেনি, তাহলে সেই মূমিনের বিষয়ে আল্লাহ 7 তাদের সুপারিশ ক্বাবূল করবেন।সাহীহ্‌ মুছলিম১২

১০) সিরাত্ব আসলে কী?
এটি একটি ব্রীজ। জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যস্থলে এটি অবস্থিত হবে। এটি অতিক্রম করে তবেই জান্নাতে যেতে হবে।
আবূ ছা‘ঈদ খুদরী 3 থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহান্নামের উপরে একটি ব্রীজ স্থাপন করা হবে। তাকে জিজ্ঞেস করা হল, এই ব্রীজটি কি? তিনি বললেন- এটি পদস্খলন হওয়ার সম্ভাবনাযুক্ত অত্যন্ত পিচ্ছিল একটি ব্রীজ। এর মধ্যে অনেকগুলো কুকুর থাকবে। যেগুলো কাফির-মুশ্‌রিকদেরকে জাপটে ধরবে। এর মধ্যে অনেক ছোট ছোট কাঁটা থাকবে।সাহীহ্‌ মুছলিম১৩
আবূ ছা‘ঈদ খুদরীর (3) অপর একটি বর্ণনা থেকে জানা যায়, এই ব্রীজটি হবে চুল থেকেও বেশি চিকন ও তলোয়ারের চেয়েও বেশি ধারালো।সাহীহ্‌ মুছলিম১৪
বাহ্যিকভাবে এই দুইটি হাদীছকে সাংঘর্ষিক বলে মনে হয়। এই ব্যাপারে আল্লাহ্‌ই (0) ভালো জানেন।
আরেকটি বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, এটি জ্বলন্ত অঙ্গারের চেয়েও বেশি উত্তপ্ত হবে।
সিরাত্বের প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন-

وَإِنْ مِنْكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا كَانَ عَلَى رَبِّكَ حَتْمًا مَقْضِيًّا ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِينَ اتَّقَوْا وَنَذَرُ الظَّالِمِينَ فِيهَا جِثِيًّا

অর্থাৎ- তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যাকে জাহান্নাম অতিক্রম (অভ্যাগমন) করতে হবে না, এটা আপনার প্রতিপালকের অনিবার্য ফয়সালা। অতঃপর মুত্তাক্বীদেরকে আমি রক্ষা করব আর যালিমদেরকে তার মধ্যে নতজানু অবস্থায় রেখে দেবো।ছূরা মারইয়াম- ৭১-৭২১৫

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়:-
১) السلام علیكم।
উছ্‌তায! যেসব মুছলিম ছোট বাচ্চারা মারা যায় তারা নাকি ইব্‌রাহীম 5 এর কাছে লালিত পালিত হন এবং শিক্ষা গ্রহণ করেন, এ বিষয়টি কি হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত?
২) একটি উট/গরু ক্বোরবানী করার ক্ষেত্রে ৭ জনকে অংশীদার করা যায়, এখন এই ৭ জন কি নিজ নিজ পরিবারের পক্ষ থেকে কোরবানী দেয়ার নিয়্যাত করবে নাকি শুধু নিজের জন্য কোরবানী দেয়ার নিয়্যাত করবে?
৩) যিলহাজ্জ মাসের প্রথম ১ম ১০ দিন আমরা কিভাবে আল্লাহ্‌র 0 আনুগত্যের জন্য চেষ্টা চালাবো, এই ব্যাপারে আমাদেরকে কিছু নাসীহাহ প্রদান করুন।


১. ছূরা আল আম্বিয়া -২৮ 
২. ছূরা আন্‌ নাজম- ২৬ 
৩. ছূরা ত্বা-হা- ১০৯ 
৪. ছূরা আল মুদ্দাছ্‌ছির- ৪৮ 
৫. জামি‘উত্‌ তিরমিযী 
৬. ছূরা আন্‌ নিছা- ১১৬ 
৭. সাহীহুল বুখারী 
৮. মুছনাদুল ইমাম আহ্‌মাদ 
৯. সাহীহুল বুখারী 
১০. তাবারানী 
১১. জামি‘উত্‌ তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মুছনাদুল ইমাম আহ্‌মাদ 
১২. সাহীহ্‌ মুছলিম 
১৩. সাহীহ্‌ মুছলিম 
১৪. সাহীহ্‌ মুছলিম 
১৫. ছূরা মারইয়াম- ৭১-৭২ 

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close