ইমাম ইবনুল ক্বায়্যিম রচিত -‘উদ্দাতুস্‌ সাবিরীন ওয়া যাখীরাতুশ্‌ শাকিরীন- গ্রন্থ থেকে আলোচনা (৬ষ্ঠ পর্ব)

শাইখ হাম্মাদ বিল্লাহ c কর্তৃক এই অডিও বক্তৃতাটি হলো মূলত ইমাম ইবনুল ক্বায়্যিম o প্রণীত -‘উদ্দাতুস্‌ সাবিরীন ওয়া যাখীরাতুশ্‌ শাকিরীন- নামক কিতাবের ভাষান্তর। গ্রন্থকার ইছলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে -সাব্‌র বা ধৈর্য্য, অধৈর্য্য এবং শুক্‌র বা কৃতজ্ঞতা- এ ক‘টি গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনী বিষয়ের অনুশীলনমূলক কাঠামো এবং এগুলোকে কিভাবে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে সংযুক্ত ও রপ্ত করা যায়, সেসব বিষয়ে অত্যন্ত চমৎকার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিয়েছেন। গ্রন্থখানি ছয় শতাব্দী পূর্বে লিখা হলেও এর বিষয়-বস্তু অত্যন্ত সময় উপযোগী এবং বর্তমান বাস্তবতার সাথে অতি প্রাসঙ্গিক। প্রাত্যহিক জীবনে সংযুক্ত ও রপ্ত করা যায়, সেসব বিষয়ে অত্যন্ত চমৎকার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিয়েছেন। গ্রন্থখানি ছয় শতাব্দী পূর্বে লিখা হলেও এর বিষয়-বস্তু অত্যন্ত সময় উপযোগী এবং বর্তমান বাস্তবতার সাথে অতি প্রাসঙ্গিক। শাইখ হাম্মাদ c নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে আলোচনা করেছেন:-

১) পূর্ববর্তী ৫ম ক্লাসের সংক্ষিপ্ত পুনরালোচনার সাথে সাথে ছূরা রাদ-এর ১৯ থেকে ২২ নং আয়াতের অত্যন্ত চমৎকার এবং মূল্যবান বিশ্লেষণ। আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেন:-

 أَفَمَنْ يَعْلَمُ أَنَّمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ الْحَقُّ كَمَنْ هُوَ أَعْمَى إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُولُو الْأَلْبَابِ. الَّذِينَ يُوفُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَلَا يَنْقُضُونَ الْمِيثَاقَ. وَالَّذِينَ يَصِلُونَ مَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ أَنْ يُوصَلَ وَيَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ وَيَخَافُونَ سُوءَ الْحِسَابِ. وَالَّذِينَ صَبَرُوا ابْتِغَاءَ وَجْهِ رَبِّهِمْ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَنْفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً وَيَدْرَءُونَ بِالْحَسَنَةِ السَّيِّئَةَ أُولَئِكَ لَهُمْ عُقْبَى الدَّارِ.سورة الرعد- ١٩-٢٢

অর্থাৎ- যে ব্যক্তি জানে যে, যা কিছু পালনকর্তার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অবতীর্ণ তা সত্য, সে কি ঐ ব্যক্তির সমান, যে অন্ধ? তারাই বুঝে যারা বোধশক্তিসম্পন্ন। এরা এমন লোক যারা আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করে এবং অঙ্গীকার ভঙ্গ করে না। এবং যারা বজায় রাখে ঐ সম্পর্ক, যা বজায় রাখতে আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন এবং স্বীয় পালনকর্তাকে ভয় করে এবং কঠোর হিসাবের আশঙ্কা রাখে। এবং যারা স্বীয় পালনকর্তার সন্তুষ্টির জন্যে সাব্‌র করে, সালাত প্রতিষ্ঠা করে আর আমি তাদেরকে যা দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে এবং যারা মন্দের বিপরীতে ভাল করে, তাদের জন্যে রয়েছে পরকালের গৃহ।ছূরা আর রা‘দ- ১৯-২২
২) ছূরা আ-লে ইমরানের ২০০ নং আয়াতের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা- আল্লাহ 7 ইরশাদ করেছেন:-

 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ.سورة ال عمران- ٢٠٠

অর্থাৎ- হে ঈমানদারগণ! ধৈর্যধারণ করো এবং মুক্বাবিলায় দৃঢ়তা অবলম্বন করো। আর আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো, যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার।ছূরা আ-লে ‘ইমরান- ২০০
৩) সাব্‌র, মুসাবারাহ ও মুরাবাত্বাহ বলতে কি বুঝায়?

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
ক) রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:- “হে যুবকরা! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থ্য রাখে তারা যেন বিয়ে করে”।
উক্ত হাদীছে উল্লেখিত “সামর্থ্য” বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
খ) আমরা আমাদের পরিবারের ক্ষেত্রে ছূরা আল মুজাদিলাহ এর ২২ নং আয়াতের প্রয়োগ কিভাবে করব?
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে শাইখ স্বভাবজাত বা প্রকৃতিগত ভালোবাসা এবং শার‘য়ী বা দ্বীনী ভালোবাসা , এ দু‘টি বিষয়ের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, স্বভাবজাত বা প্রকৃতিগত ভালোবাসা পোষণের জন্য কেউ আল্লাহ্‌র (0) নিকট জাওয়াবদিহী হবে না, কেবল শার‘য়ী বা দ্বীনী ভালোবাসার জন্য প্রতিটি মানুষ আল্লাহ্‌র নিকট  জিজ্ঞাসিত হবে।
গ) ভালো দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করা, এটা কি সেই হাদীছের অন্তর্ভুক্ত বিষয় যেখানে রাছূলুল্লাহ 1 গুরাবাদের (সমাজে অপরিচিত বলে গণ্য লোকদের) পরিচয় দিতে যেয়ে বলেছেন যে, তারা হলেন সেইসব লোক যারা মানুষ যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন তাদেরকে ঠিকঠাক করে কল্যাণের পথে নিয়ে আসেন?
ঘ) কিভাবে আমরা ধৈর্যহীনতার স্বভাব পরিত্যাগ করব এবং ধৈর্যধারণের অভ্যাস ক্রমান্বয়ে নিজেদের মধ্যে গড়ে তুলব?
ঙ) আমি কিভাবে বুঝব যে, সত্যিই আমার মধ্যে আল্লাহ্‌র ভয় বা তাক্বওয়া আছে?
চ) মহান আল্লাহ্‌র এমন কিছু নাম রয়েছে যেগুলো দ্বারা তাঁর বান্দাহ্‌কে আখ্যায়িত করা যায়। যেমন “রাহীম”। আবার এমন অনেক নাম রয়েছে যেগুলো দ্বারা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে আখ্যায়িত করা যায় না। প্রশ্ন হলো- এ বিষয়টি বুঝার উপায় বা এ সংক্রান্ত নীতিটি কী?


১. سورة الرعد- ١٩-٢٢ 
২. ছূরা আর রা‘দ- ১৯-২২ 
৩. سورة ال عمران- ٢٠٠ 
৪. ছূরা আ-লে ‘ইমরান- ২০০ 

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close