নারীদের সম-সাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং তা থেকে উত্তরণের ক্বোরআন-ছুন্নাহ ভিত্তিক পথ ও পদ্ধতি (৩০নং পর্ব)

এটি উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ (c) প্রদত্ত একটি ধারাবাহিক অডিও বক্তব্য। এতে তিনি আমাদের সমাজে নারীরা পারিবারিক, সামাজিক, বৈবাহিক ইত্যাদি নানামুখী যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, সেসবের কারণ নির্ণয়সহ ক্বোরআন ও ছুন্নাহ ভিত্তিক এর সঠিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া তাতে সন্তানদের সঠিক লালন-পালন, সুখী সংসার গড়ার উপায় ও পদ্ধতি এবং নারীদের বাইরে কাজ করার বিষয়ে সুষ্পষ্ট দিক-নির্দেশনা সম্বলিত চমৎকার আলোচনা করেছেন।
১) “মুহাব্বাহ” তথা “ভালোবাসা” বিষয়ে ধারাবাহিক আলোচনা- আখিরাতের প্রতি ভালোবাসাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
২) তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ এবং তাওহীদুল ‘উবূদিয়্যাহ্‌র মধ্যে আল্লাহ্‌র প্রতি ভালোবাসা অন্তর্ভুক্ত। তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ্‌র মূল বিষয়বস্তু হলো মুহাব্বাহ তথা ভালোবাসা।
৩) ভালোবাসা হলো প্রকৃতিগত বিষয়। ভালোবাসা কি? ভালোবাসার বৈশিষ্ট্য ও চাহিদা কি? এসব বিষয়ে ‘উলামায়ে কিরাম অত্যন্ত চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করেছেন।
৪) মুশরিকদের আল্লাহ্‌কে (7) ভালোবাসার দাবি।
৫) যারা আল্লাহ্‌র ভালোবাসা পেতে চায়, চারটি বৈশিষ্ট্য অবশ্যই তাদেরকে অর্জন করতে হবে-

ক) মূমিনদের প্রতি তাদের হতে হবে দয়া ও অনুগ্রহশীল।
খ) অবিশ্বাসীদের প্রতি হতে হবে কঠোর।
গ) যারা করবে আল্লাহ রাহে জিহাদ।
ঘ) যারা অন্যের তিরস্কার আর গালমন্দের ব্যাপারে হবে ডর-ভয়হীন।

৬) খাওয়ারিজ- যারা ইছলামের ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষ হত্যা করে, তাদের যথার্থ খন্ডন।
৭) তথাকথিত উদারমনা মুছলিমদের যথার্থ খন্ডন।
৮) যারা নিজেদেরকে ছালাফী দাবি করা অথচ অপরাপর মূমিনদের সাথে অসদাচারণ করে, তাদের প্রতি উছ্‌তাযের নাসীহাহ।
৯) যারা আহলুল হাদীছ হওয়ার দাবি করে অথচ বিদ‘আতীদের সংস্পর্শে থাকে, তাদের সমালোচনা।
১০) মুহাব্বাহ ও ‘ইশ্‌ক্ব এর মধ্যে পার্থক্য। উছতায বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।
১১) ভালোবাসা মূলতঃ তিন প্রকার। এগুলো হলো- মাশরূ‘ বা শারী‘য়াতসম্মত ভালোবাসা, মুবাহ বা বৈধ ভালোবাসা এবং হারাম তথা নিষিদ্ধ ভালোবাসা।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:
১) আল্লাহ 0 শুধুমাত্র ধনীদের উপর হাজ্জ ফার্‌য করেছেন কেন? সালাতের মতো সবার উপর নয় কেন?
২। ধর্মনিরপেক্ষতা কি দ্বীন বিরোধী?
৩) “শয়তান থেকেও ‘ইলম নেয়া যেতে পারে” এরকম কথা শুনা যায় মাদিনা ইউনিভার্সিটি থেকে বের হওয়া লোকজন থেকে যখন তাদের কাছে জনপ্রিয় তথাকথিত বিশ্ব নন্দিত দা‘য়ী কোন বাত্বিল কথা প্রচার করেন তো এক্ষেত্রে মানুষ কে কি বলা যেতে পারে যাতে তাদেরকে আল্লাহর দিকে ডাকা যায়।
৪) “আল্লাহকে ভালোবাসা” ও “আল্লাহকে ভয় করার” মধ্যে আমরা কিভাবে উত্তমভাবে সামঞ্জস্য করতে পারি? যেহেতু এই দুই প্রকার বাহ্যতঃ বিপরীতধর্মী অনুভূতিগুলো এক আল্লাহর জন্য একই সাথে এবং সবসময় করা কাম্য।
৫) السلام عليكم ورحمة الله وبركاته।
আল্লাহ 7 উছ্‌তাযকে উত্তম প্রতিদান দিন এবং বারাকাহ দান করুন।
আল্লাহ 0 আমাদের সবাইকে তাওফীক্ব দিন আল্লাহ্‌কে ভালোবাসার এবং তাঁর ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হওয়ার। আ-মীন।
প্রশ্নঃ- আমরা অনেক সময় কর্মক্ষেত্রে এমন পরিবেশ পরিস্থিতির সম্মুখীন হই, যেখানে হয়ত দ্বীনের অনেক মৌলিক বিষয়ের সাথে সাংঘর্ষিক ব্যাপারে আপোষ করতে হয়। যেমন- মহিলা সহকর্মীদের সাথে একসাথে কাজ করা এবং কাজের প্রয়োজনে দেখা-সাক্ষাত ও কথা-বার্তা বলা। অনেক অফিসে বেতন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নিতে হয় এবং পুরো টাকা না তুলে একটা এমাউন্ট রেখে দিতে হয় যা পরবর্তীতে সুদের সাথে মিশ্রিত হয়। আরো অনেক খুঁটিনাটি বিষয় থাকে যা ইছলামের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। এতো আপোষ করে আমরা যারা কর্মক্ষেত্রে কাজ করি, তারা কি মূমিনের বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলি?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close