নারীদের সম-সাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং তা থেকে উত্তোরণের ক্বোরআন-ছুন্নাহ ভিত্তিক পথ ও পদ্ধতি (১৪তম পর্ব)

উছতায আবূ ছা‘আদাহ হাম্মাদ বিল্লাহ c এই অডিও বক্তব্যে নারীদের সম-সাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং এসকল সমস্যা থেকে উত্তোরণের পথ ও পদ্ধতি বিষয়ে ক্বোরআন-ছুন্নাহ্‌র আলোকে অত্যন্ত মূল্যবান আলোচনা পেশ করেছেন। পারিবারিক এবং বৈবাহিক জীবনে নারীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া, সন্তানদের লালন-পালন করা, সুখী ও সমৃদ্ধ পরিবার গড়ে তোলা, ঘরের বাইরে কাজ-কর্ম করা ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
তাছাড়া বিশেষভাবে এখানে কথার দ্বারা পাপ করার এবং মুজাদালাহ্‌র বিষয়ে আলোচনা করেছেন। উক্ত বক্তব্য থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ ক’টি বিষয় নিম্নে উল্লেখ করা হলো:-
১) উছতায মুজাদালাহ্‌র সংজ্ঞা বর্ণনা ও ব্যাখ্যা করেছেন।
২) আল্লাহ 0 আমাদেরকে মুজাদালাহ্‌র নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু এই মুজাদালাহ কিভাবে করার নির্দেশ দিয়েছেন?
৩) আল্লাহ 7 কতক বিতর্কের প্রশংসা করেছেন আবার কতক বিতর্কের নিন্দা করেছেন। যে ধরনের বিতর্ক প্রশংসনীয় তার বিশ্লেষণ করার সাথে সাথে উছতায ক্বোরআন-ছুন্নাহ থেকে এর স্বপক্ষে প্রমাণও উপস্থাপন করেছেন।
৪) প্রাত্যহিক জীবনে আমরা যেমন পরিবারের সদস্যদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ি, তেমনি অনেক দম্পতি কিংবা পরিবারের সদস্যদেরকে অযথা-অনর্থক বিতর্কের ফলশ্রুতিতে পৃথক হয়ে যেতে দেখা যায়। এধরনের সমস্যার চমৎকার ও কার্যকর সমাধান উছতায উপস্থাপন করেছেন।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
ক) আমাদের সমাজে বেশ জনপ্রিয়, ইছলাম ও অন্যান্য ধর্মের তুলনামূলক আলোচনাকারী ডাক্তার জাকির নায়েক বলেছেন- “মুশরিকরা তাদের দেব-দেবীদেরকে (বাত্বিল উপাস্যদেরকে) যেসব চমৎকার নামে নামকরণ করে থাকে, আল্লাহকে (8) সেসব নামসহ যে কোন উত্তম নামে ডাকা যেতে পারে”। ইতোমধ্যে আমাদের ‘উলামায়ে কিরাম ও ত্বালিবুল ‘ইল্‌মগণ তার উক্ত বক্তব্যকে জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান ও খন্ডন করেছেন। এতদসত্ত্বেও দেখা যায় যে, বিভিন্ন দেশে এমনকি আমাদের দেশেও নিজেকে ‘আলিম বলে দাবিদার অনেকে জাকির নায়েককে সমর্থন করেন এবং বিশ্বব্যাপি তার পক্ষে প্রচারণা করে থাকেন। আমার প্রশ্ন হলো- এরূপ ‘আলিমদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান কেমন হওয়া উচিত? তাদের কথাবার্তা শুনা এবং তাদের কাছ থেকে ইছলামী শিক্ষা নেয়া কতটুকু নিরাপদ?
আল্লাহ 0 আপনাদের মধ্যে বারাকাহ দান করুন।
খ) ছূরা আন্‌নাহ্‌ল এর ১২৫নং আয়াতে আল্লাহ 7 ইরশাদ করেছেন:-

ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ.

অর্থাৎ – “আপনি আপনার প্রতিপালকের দিকে আহবান করুন কৌশল ও সুন্দর সদুপদেশের মাধ্যমে এবং তাদের সাথে উত্তম বস্তু দিয়ে বিতর্ক করুন”। এবং ছূরা আল ‘আনকাবূত এর ৪৬নং আয়াতে আল্লাহ 8 ইরশাদ করেছেন:-

وَلَا تُجَادِلُوا أَهْلَ الْكِتَابِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِلَّا الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْهُمْ.

অর্থাৎ- “তোমরা কিতাব ধারীদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করবে না কিন্তু উত্তম পন্থায়। তবে তাদের সাথে নয় যারা তাদের মধ্যে বে-ইনসাফ।”
উক্ত আয়াত দু’টিতে দা‘ওয়াতের ৪টি পর্যায় বা পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। এই ৪টি পদ্ধতি কি সবার জন্য প্রযোজ্য? সাধারণ মুছলিমদের জন্য বিতর্কের মাধ্যমে দা‘ওয়াত দেয়া কি বৈধ?
গ) السلام عليكم। উছতায, কারো সাথে হালকা মুজাদালা করছি দলিল দিয়ে, কিন্তু সে লোক চরম গোড়ামীর কারণে গ্রহণ না করে উল্টো আমাকে ভ্রষ্টতার দিকে আহবান করছে। তখন আমি কি করতে পারি?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close