নারীদের সম-সাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং তা থেকে উত্তোরণের ক্বোরআন-ছুন্নাহ ভিত্তিক পথ ও পদ্ধতি (১৩তম পর্ব)

উছতায আবূ ছা‘আদাহ হাম্মাদ বিল্লাহ c এই অডিও বক্তব্যে নারীদের সম-সাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং এসকল সমস্যা থেকে উত্তোরণের পথ ও পদ্ধতি বিষয়ে ক্বোরআন-ছুন্নাহ্‌র আলোকে অত্যন্ত মূল্যবান আলোচনা পেশ করেছেন। পারিবারিক এবং বৈবাহিক জীবনে নারীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া, সন্তানদের লালন-পালন করা, সুখী ও সমৃদ্ধ পরিবার গড়ে তোলা, ঘরের বাইরে কাজ-কর্ম করা ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
তাছাড়া বিশেষভাবে এখানে কথার দ্বারা পাপ করার, কৃত্রিম আওয়াজে কিংবা নানা ঢঙে ইনিয়ে-বিনিয়ে কথা বলার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। উক্ত বক্তব্য থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ ক’টি বিষয় নিম্নে উল্লেখ করা হলো:-
১) উছতায তাক্বা‘উর (কৃত্রিম আওয়াজে গলা বা মুখ ফুলিয়ে কথা বলা) ও তাশাদ্দুক্ব (নানা ঢঙে ইনিয়ে-বিনিয়ে কথা বলা) এর সংজ্ঞা বর্ণনা করেছেন।
২) যারা কথা বলতে তাক্বা‘উর ও তাশাদ্দুক্ব করে তাদের শাস্তি কি ও কেমন হবে?
৩) নারী ও পুরুষের কথাবার্তায় তাক্বা‘উর ও তাশাদ্দুক্ব এর নমুনা।
৪) ছারছার (যে ব্যক্তি অহেতুক, অনর্থক, মাত্রাতিরিক্ত কথাবার্তা বলে) এর সংজ্ঞা ও উদাহরণ। যারা অহেতুক, অনর্থক, মাত্রাতিরিক্ত কথাবার্তা বলে তাদের প্রতি বিশেষ সতর্কবাণী।
৫) সেই সকল দা‘য়ীদের প্রতি নাসীহাত, যারা অহেতুক ও মাত্রাতিরিক্ত কথা-বার্তা বলে থাকেন। শ্রোতাদের উপর অহেতুক ও মাত্রাতিরিক্ত কথা-বার্তার নেতিবাচক প্রভাব।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
ক) কারো যদি অহেতুক-মাত্রাতিরিক্ত কথাবার্তা বলার কিংবা তাক্বা‘উর ও তাশাদ্দুক্ব এর বদ-অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে তা থেকে ক্রমশঃ বেরিয়ে আসার উপায় কি?
খ) অনুগ্রহপূর্বক, সাহীহ বুখারীতে আবূ ছা‘য়ীদ আল খুদরী 3 বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীছটি ব্যাখ্যা করুন, যেখানে রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:-
অর্থ- ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ 0 আদামকে (5) বলবেন: “হে আদাম”! আদাম 5 প্রতুত্তরে বলবেন- “হে আমার রাব! লাব্বাইকা ওয়া ছা‘দাইকা, সকল কল্যাণ আপনার দু’হাতে”। অতঃপর খুবই উঁচু স্বরে এই বলে আওয়াজ হবে- আল্লাহ আপনাকে নির্দেশ দিচ্ছেন আপনার সন্তানদের মধ্য হতে জাহান্নামীদেরকে বের করুন। আদাম 5 বলবেন- হে আমার রাব! কতো জনকে বের করব? আল্লাহ বলবেন: “প্রতি হাজারের মধ্য হতে নয়শত নিরান্নব্বই জনকে”। সেদিন বাচ্চা বুড়ো হয়ে যাবে, তোমরা প্রত্যক্ষ করবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করে ফেলবে; আর আপনি মানুষকে দেখবেন নেশাগ্রস্ত, অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়; বস্তুতঃ আল্লাহ্র শাস্তি অতি কঠিন।
গ) স্বর্ণ ও রূপার যাকাতের নিসাব কি? কিভাবে স্বর্ণের যাকাত দিবে? কারো কাছে যদি নিসাব অতিরিক্ত স্বর্ণ থাকে তাহলে ,সে কিভাবে যাকাত আদায় করবে? সে কি শুধু নিসাব বর্ধিত অংশের যাকাত দিবে? নাকি সম্পূর্ণ পরিমান স্বর্ণের যাকাত দিবে?
ঘ) ‍কোনো ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির যদি নিসাব পরিমাণ স্বর্ণ থাকে, তাহলে সে কিভাবে যাকাত আদায় করবে?
ঙ) যাকাত কি সময় বিলম্ব করে জমিয়ে আদায় করা যায়? কোন সময়টা যাকাত আদায়ের জন্য উত্তম?
চ) মারাত্নকভাবে ঋণগ্রস্ত এমন কোন ব্যক্তিকে কি যাকাত দেয়া যাবে যে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল কিন্তু বর্তমানে তার কাছে নগদ অর্থ না থাকার কারণে ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না?
ছ) কোন ব্যক্তি যদি মারাত্নকভাবে ঋণগ্রস্ত হয় এবং কোনোভাবেই ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে সক্ষম না হয়, অপরদিকে তার গৃহবধু; স্ত্রীর নিকট যদি নিসাব পরিমাণ স্বর্ণালংকার থাকে, এমতাবস্থায় স্ত্রী কি তাকে তার স্বর্ণের যাকাত দিতে পারবে?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close