করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ইছলামিক দৃষ্টিভঙ্গি (৬ষ্ঠ পর্ব)

ফিক্বহের একটি উসূল রয়েছে যে, সন্দেহের দ্বারা সুনিশ্চিত কোনো বিষয়কে প্রতিহত করা যায় না। তাই কে এই ভাইরাসে আক্রান্ত বা কে আক্রান্ত নয়, এই সন্দেহের জন্য ওয়াজিব জুমু’আর সালাত ছাড়া উচিত হবে না। নতুবা কেবলমাত্র WHO এর নির্দেশনার ভিত্তিতে আমরা যদি দ্বীনী সিদ্ধান্ত নিতে থাকি, তবে একসময় দেখা যাবে যে, দ্বীনে ইছলামের আর কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
১) আমাদের তরফ থেকে সরকারের প্রতি এতটুকু বলতে পারি যে, তারা চাইলে নিম্নোক্ত রুলগুলো জারি করতে পারে। সেগুলো হলো-

ক) কারো মধ্যে যদি এই COVID-19 এর উপসর্গ সামান্য মাত্রায়ও বিদ্যমান থাকে, তবে সে অবশ্যই মাছজিদে আসবে না।
খ) মাছজিদকে যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এই রুল জারি করতে পারে যে, মাছজিদ কমিটি বা এলাকার জনগণ নিজ উদ্যোগে এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজটি করবেন।
গ) জুমু‘আর সালাতে কোনো মাছজিদে যদি সাধারণতঃ মুসল্লি খুব বেশি থাকেন, তবে চাইলে ঐ মাছজিদে জুমু’আর সালাতের একাধিক জামা‘আত করা যেতে পারে। পাশাপাশি জুমু’আর খুতবা ও ক্বিরাত যতটুকু সম্ভব সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।
ঘ) সরকারের তরফ থেকে চাইলে এই রুল জারি করতে পারে যে, কোনো বৃদ্ধ ব্যক্তি মাছজিদে আসতে পারবে না।

২) যদিও WHO থেকে বলা হচ্ছে যে, বাংলাদেশ খুবই ঝুঁকির মধ্যে আছে। কিন্তু আমরা ইন-শা-আল্লাহ, কোনো ঝুঁকি দেখছি না। কারণ-

ক) আমাদের সামনে মাহে রামাযান আসছে। এটি রাহ্‌মাতের মাস। রাহ্‌মাহ চলে আসলে ‘আযাব আর থাকতে পারে না।
খ) এই শ্রেণীর ত্বা‘ঊনগুলো সেই রকম সমাজেই বেশি বিস্তার লাভ করে, যেসকল সমাজ অশ্লীলতা ও কুকর্মে ডুবে রয়েছে। আলহামদু ল্লিলাহ, বাংলাদেশ এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
গ) রোহিঙ্গাদের মতো মাযলূম ও নির্যাতিত একটা সম্প্রদায়কে আশ্রয় দেওয়া অনেক বড় একটি ‘আমল। এজাতীয় নেক ‘আমলকে ওছীলাহ করে আল্লাহ্‌র নিকট এই ‘আযাব থেকে আমাদেরকে পানাহ চাইতে হবে।

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নসমূহের উত্তর দেওয়া হয়-
১) শামে যখন ত্বা‘ঊন দেখা দেয়, তখন মু‘আয ইবনু জাবাল 3 আল্লাহ্‌র (0) কাছে প্রার্থনা করেন যে, এই ত্বা‘ঊনের মধ্যে যেন তার পরিবারের একটা অংশকে রাখা হয়। এজাতীয় দু’আ কি বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরাও করতে পারি?
২) ভ্যাক্সিনের যে পরীক্ষামূলক ব্যবহার দরিদ্র ও সেচ্ছাসেবীদের উপর করা হয়ে থাকে, এর দ্বীনি অবস্থান কি? এর থেকে উপকার লাভ করা যাবে কি? এরকম গবেষণা ও এর ফলাফল কি দ্বীনসম্মত?
৩) ডাক্তাররা যেনো সঠিকভাবে সুরক্ষিত হেলমেট পরিধান করতে পারেন, এজন্য হাসপাতাল থেকে তাদেরকে দাঁড়ি ছাঁটতে বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের করণীয় কি হতে পারে?
৪) সাহাবায়ে কিরামের (g) সময়ে এরকম কোনো ত্বা‘ঊন বা প্লেগ রোগ হয়েছিল কিনা? তখন তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন?
৫) পিপিই পরিধান করে সালাত আদায়ের হুক্‌ম কি?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close