ক্বোরআনের তাফছীর (১৪তম পর্ব)

এটি উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ c প্রদত্ত একটি ধারাবাহিক অডিও বক্তব্য। উক্ত ধারাবাহিক বক্তব্যে উছতায পবিত্র ক্বোরআনের ছূরা সমূহের তাফছীর প্রদান করবেন, إِن شَاء اَللّٰه। বক্তব্যের এই পর্বে উছতায তাফছীরের নিয়ম-নীতি ও ‘উলূমুল ক্বোরআন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। নিম্নোক্ত বইসমূহ উৎস হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে-

ক) আল ‘আল্লামা ‘আব্দুল্লাহ আছ্‌ ছা‘দী o রচিত এবং শাইখ সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন o কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত আত-তা‘লীক্ব ‘আলাল ক্বাওা‘য়ীদ আল-হিছান।
খ) আল ‘আল্লামা মুহাম্মাদ ‘আলী আস্‌ সাবূনী o রচিত আত্‌ তিবয়ান ফী ‘ঊলূমিল ক্বোরআন।
গ) আল-‘আল্লামা ছুয়ূতী o রচিত আল-ইতক্বান।

এছাড়াও ছালাফদের রচিত আরো কিছু বই থেকে সারাংশ উপস্থাপন করা হবে, إِن شَاء اَللّٰه।

এই পর্বেরও আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে “ইছতি‘আযাহ” বা أعوذ بالله من الشيطان الرجيم
১) “ইছতি‘আযাহ” বা أعوذ بالله من الشيطان الرجيم শব্দের অর্থ কি?
“ইছতি‘আযাহ” শব্দের অর্থ হচ্ছে- আশ্রয় প্রার্থনা করা। আর أعوذ শব্দের অর্থ হচ্ছে- আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি।
২) আশ্রয় প্রার্থনা বা আশ্রয় গ্রহণের জন্য একইসাথে এবং একই সময়ে ৪টি বিষয় থাকতে হবে-

ক) আশ্রয় দানকারী।
খ) আশ্রয় প্রার্থী।
গ) সেই বিষয় বা বস্তু যা থেকে আশ্রয় চাওয়া হচ্ছে।
ঘ) আশ্রয় চাওয়ার কারণ।
এই চারটি বিষয়ের যেকোন একটি বিষয়ও যদি না থাকে, তবে তাকে আশ্রয় গ্রহণ বলা যাবে না।

৩) عوذ শব্দ থেকে “তা‘ওয়ীয” শব্দের উৎপত্তি। “তা‘ওয়ীয” শব্দটি পারিভাষিকভাবে ২টি অর্থে ব্যবহৃত হয়-

ক) রুক্বইয়াহ।
খ) অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কোন কিছু লিখে শরীরে ঝুলানো।

৪) ক্বোরআনে কারীমে বর্ণিত বিভিন্ন দু‘আ সমূহ আমরা বহুবচনের রূপে দেখতে পাই। কিন্তু أعوذ শব্দটি একবচন। এর কারণ কি?
‘উলামায়ে কিরাম এর কিছু কারণ বর্ণনা করেছেন। সেগুলো হলো-

ক) এই দু’আর দ্বারা প্রত্যেকেই আলাদাভাবে স্বীয় রাব্বের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে। কারণ, শাইত্বান প্রত্যেকের জন্য প্রকাশ্য শত্রু।
খ) প্রথমে নিজেকে শাইত্বানের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। নিজে না বাঁচতে পারলে তো আর অপরের জন্য দু’আ করার প্রশ্নই আসে না।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া হয়-
১) শাইত্বানের ওয়াছ্‌ওয়াছা আর নিজের নাফ্‌ছের ওয়াছ্‌ওয়াছার মধ্যে পার্থক্য কি? স্বীয় নাফ্‌ছের ওয়াছ্‌ওয়াছা থেকে কিভাবে নিজেকে হিফাযাত করা যায়? ক্বোরআন-ছুন্নাহে এ সংক্রান্ত কি কি দু‘আ রয়েছে?
২) অনেকেই বিশ্বাস করে যে, টিকা নিলে ভাইরাস থেকে বাঁচা যাবে। আমার প্রশ্ন হলো- তা‘আওউযের সাথে কি ভ্যাক্সিন বা টিকার তুলনা করা যেতে পারে?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close