আল ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত আল ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী রচিত -‘আক্বীদাহ সংকলন- গ্রন্থ (৪৮নং পর্ব)

এই অডিওটি আশ্‌শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্ আল ‘উছাইমীন o কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী o এর সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ “লুম‘আতুল ই‘তিক্বাদ”এর ধারাবাহিক অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় অডিওরূপে এটি ভাষান্তর করেছেন উছ্‌তায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ c। এতে ছালাফে সালিহীনের (g) আক্বীদাহ-বিশ্বাসের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। আহলুছ্ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘উলামায়ে কিরামের চিরাচরিত স্বভাব–বৈশিষ্ট্যও হলো যে, তারা তাদের লিখনীর মাধ্যমে সর্বাগ্রে বিশুদ্ধ ইছলামী ‘আক্বীদাহ সংরক্ষণ এবং তা প্রচার ও প্রসার করে থাকেন। বক্তব্যের এ পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c শাফা‘য়াত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আলোচনার সারসংক্ষেপ নিম্নরূপঃ
১) ইবনু ক্বোদামাহ o বলেন, আমাদের নাবী 1 তার উম্মাতের সেই সমস্ত লোকদের ব্যাপারে সুপারিশ করবেন, যারা কাবীরাহ গুনাহের কারণে জাহান্নামে নিপতিত হয়েছে। তারা সেখানে জ্বলে পুড়ে কয়লা ও অঙ্গার হয়ে থাকবে। পরবর্তীতে রাছূলুল্লাহ্‌র (1) সুপারিশে তারা জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে।
অন্যান্য সকল নাবী, মূমীন ব্যক্তি এবং মালাইকাদেরকেও এই ব্যাপারে সুপারিশ করার অনুমতি দেওয়া হবে।
এর ব্যাখ্যায় শাইখ ‘উছাইমীন o বলেন, শাফা‘য়াতের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- বিজোড়কে জোড় বানানো। আভিধানিক অর্থে- অন্যের উপকার সাধন ও তাকে অনিষ্ট থেকে রক্ষা করা।
২) ক্বিয়ামাতের দিন মোট দুই প্রকারের শাফা‘য়াত হবে-

ক) শাফা‘য়াতে ‘উজমা। এটি রাছূলুল্লাহ 1 এর জন্য নির্দিষ্ট। এটি সেই সুপারিশ, যা হাশ্‌রের ময়দানে অবস্থানরত সকল মানবজাতির জন্য করা হবে। এর ফলে আল্লাহ তাদের মাঝে বিচারকার্য শুরু করবেন।
খ) ২য় প্রকারের শাফা‘য়াত হলো- জাহান্নামী মূমিনদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করার জন্য।
আবূ ছা‘ঈদ খুদরী 3 থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- যারা প্রকৃত অর্থেই জাহান্নামের চিরস্থায়ী বাসিন্দা, তারা সেখানে মরবেও না, আবার বাঁচার মত বাচবেও না। কিন্তু জাহান্নামে এমন কিছু লোক থাকবে, যারা আগুনে পুড়বে তাদের গুনাহের কারণে অথবা তাদের ভুল-ত্রুটির কারণে। অতঃপর যখন তারা জাহান্নামের আগুনে জ্বলে-পুড়ে কয়লা হয়ে যাবে। তখন তাদেরকে মহান আল্লাহ 7 এক প্রকারের মৃত্যু দিবেন। যদিও এটি প্রকৃত মৃত্যু নয়। এরপর তাদের বিষয়ে শাফা‘য়াতের অনুমতি দেওয়া হবে। এই সুপারিশের ফলেই তারা জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে।মুছনাদুল ইমাম আহ্‌মাদ
আবূ ছা‘ঈদ খুদরী 3 থেকে বর্ণিত অপর আরেকটি হাদিছ থেকে আরও জানা যায় যে, সকলের সুপারিশ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও আল্লাহ 8 তার নিজ অনুগ্রহে এক মুষ্ঠি পরিমাণকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনবেন। তারা এমন লোক হবে যারা পৃথিবীতে কখনো কোনো ভালো কাজ করেনি এবং তারা তখন জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে থাকবে। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)

৩) ২য় প্রকারের শাফা‘য়াতে মুতাযিলী ও খারিজীরা বিশ্বাস করে না। কেননা, তাদের মতে- কাবীরাহ গুনাহকারীরা চিরস্থায়ী জাহান্নামের বাসিন্দা। এর প্রেক্ষিতে শাইখ ‘উছাইমীন o বলেন, তাদের এই দাবিটিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। কারণ, প্রথমতঃ তাদের এই দাবিটি মুতাওয়াতির পর্যায়ের হাদীছের বিপরীত। দ্বিতীয়তঃ তাদের এই মতটি ছালাফে সালেহীনের ইজমা‘-র বিপরীত।
৪) শাইখ ‘উছামীন o বলেন, এই সাধারণ শাফা‘য়াতের জন্য দুইটি শর্ত রয়েছে, এই শর্তগুলোর অনুপস্থিতিতে শাফা‘য়াত করা যাবে না। সেগুলো হলো-

ক) সুপারিশ অবশ্যই আল্লাহ্‌র (0) অনুমতি নিয়েই করতে হবে। এই ব্যাপারে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেনঃ- مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ
অর্থাৎ- কে সেই ব্যক্তি যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে?ছূরা আল বাক্বারা- ২৫৫
খ) যিনি সুপারিশ করবেন এবং যার জন্য সুপারিশ করা হবে, উভয়ের উপরই আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি থাকতে হবে। কাফিরের জন্য কোনো সুপারিশ নেই। যদি কেউ সুপারিশ করেও তবুও তা ক্বাবূল করা হবে না। এ সম্পর্কে আল্লাহ 8 ইরশাদ করেছেনঃ- فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
অর্থাৎ- তখন সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন কাজে আসবে না।ছূরা আল মুদ্দাছ্‌ছির- ৪৮

৫) শাইখ ‘উছাইমীন o বলেন, কাফিরদের জন্য সুপারিশের সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও রাছূলুল্লাহ 1 স্বীয় চাচা আবূ ত্বালিবের জন্য সুপারিশ করবেন, এটা কিভাবে সম্ভব হবে?
আবূ ত্বালিবের অবস্থান হবে জাহান্নামের কিছু উত্তপ্ত পানিতে, তার পরনে জুতা থাকবে, আর এর ফলে তার মগজটা ফুটতে থাকবে। কাফিরদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম ‘আযাবের অধিকারী হবেন।
এ সম্পর্কে রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- আমি না থাকলে আবূ ত্বালিবের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে হতো।সাহীহ্‌ মুছলীম)
শাইখ ‘উছাইমীন o বলেন, আবূ ত্বালিবের জন্য করা এই সুপারিশটি কেবলমাত্র রাছূলুল্লাহ 1 এর জন্যই নির্দিষ্ট। অন্য কোনো কাফিরের জন্য কোনো সুপারিশ প্রযোজ্য নয়। কারণ, আবূ ত্বালিব রাছূলুল্লাহ-কে (1) কাফির-মুশরিকদের কবল থেকে আগলে রেখেছেন এবং দ্বীনে ইছলামকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
৬) শাইখ ‘উছাইমীন o বলেন, আমরা শাফা‘য়াতকে প্রথমতঃ দুই ভাগে ভাগ করতে পারি- একটি হচ্ছে শাফা‘য়াতে সাহীহাহ, অপরটি হচ্ছে শাফা‘য়াতে বাত্বিলাহ।
কারো উপকার করার কিংবা অনিষ্ট দূর করার কোনো ক্ষমতা যে ব্যক্তির নেই, তাকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা বা তার নিকট শাফা‘য়াত কামনা করা হচ্ছে শাফা‘য়াতে বাত্বিলাহ। এই ব্যাপারে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেনঃ-

وَيَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُولُونَ هَؤُلَاءِ شُفَعَاؤُنَا عِنْدَ اللَّهِ

অর্থাৎ- আর তারা আল্লাহকে ছেড়ে ‘ইবাদাত করে এমন কিছুর যা না পারে তাদের কোন ক্ষতি করতে, আর না পারে কোন উপকার করতে। আর তারা বলে, “ওগুলো আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশকারী”। ((ছূরা ইউনুছ- ১৮
আর শাফা‘য়াত সাহীহ্‌ হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো-

ক) সুপারিশকারী কর্তৃক সুপারিশ করার জন্য পূর্বেই আল্লাহ্‌র (0) অনুমতি লাগবে।
খ) সুপারিশকারীর উপর আল্লাহ্‌র (0) সন্তুষ্টি থাকতে হবে।
এই শর্তগুলো পাওয়া গেলে পরেই তাকে শাফা‘য়াতে সহীহাহ বলা যাবে। এই ব্যাপারে আল্লাহ 7 ইরশাদ করেছেনঃ- مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ
অর্থাৎ- কে সেই ব্যক্তি যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? (সূরা বাক্বারা-২৫৫)
অন্যত্র আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেনঃ- يَوْمَئِذٍ لَا تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَرَضِيَ لَهُ قَوْلً
অর্থাৎ- সেদিন কারো সুপারিশ কোন কাজে আসবে না, দয়াময় যাকে অনুমতি দেবেন আর যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন তার (সুপারিশ) ব্যতীত।ছূরা ত্ব-হা- ১০৯
গ) যার জন্য সুপারিশ করা হবে, তার উপর আল্লাহ্‌র (0) সন্তুষ্টি থাকতে হবে। যেমন আল্লাহ 7 ইরশাদ করেছেনঃ- يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ارْتَضَى وَهُمْ مِنْ خَشْيَتِهِ مُشْفِقُونَ
অর্থাৎ- তাদের সামনে আর পেছনে যা আছে তা তিনি জানেন। তিনি যাদের প্রতি সন্তুষ্ট তাদের জন্য ব্যতিত এরা কোন সুপারিশ করে না। বস্তুত তারা তাঁর ভয়ে ভীত।ছূরা আল আম্বিয়া- ২৮
এই তিনটি শর্তের কথা একত্রে ছূরা নাজ্‌মের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে। যেমন-

وَكَمْ مِنْ مَلَكٍ فِي السَّمَاوَاتِ لَا تُغْنِي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا إِلَّا مِنْ بَعْدِ أَنْ يَأْذَنَ اللَّهُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَرْضَى

অর্থাৎ- আকাশে কতই না ফিরিশতা আছে, তাদের সুপারিশ কোনো কাজে আসবে না, তবে আল্লাহ অনুমতি দেয়ার পর যার জন্যে তিনি ইচ্ছে করবেন এবং যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট হবেন।ছূরা আন্‌ নাজম- ২৬

৭) শাইখ ‘উছাইমীন, ইবনু ক্বোদামাহ o প্রমুখ শাফা‘য়াতকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন।
প্রথমটি হচ্ছে- শাফা‘য়াতুল উজমা। যার অধিকারী হবেন শুধুমাত্র রাছূলুল্লাহ 1। একে শাফা‘য়াতে খাসও বলা হয়। ইবনু তাইমিয়্যাহ o এবং আরো কিছু সংখ্যক ‘উলামায়ে কিরামের মতে, তিন প্রকারের সুপারিশ কেবল রাছূলুল্লাহ্‌র (1) জন্যই নির্দিষ্ট। এই তিন প্রকারে সুপারিশ হলো-

ক) হাশ্‌রের বিচারকার্য শুরু করার জন্য যে শাফা‘য়াত, তা শুধু রাছূলুল্লাহ্‌ই (1) করবেন।
যেমন, আবূ হুরায়রাহ 3 থেকে বর্ণিত, রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন- হাশ্‌রের ময়দানে মানুষজন দুর্বিষহ অবস্থায় থাকবে। সূর্য তাদের মাথার উপরে অবস্থান করবে। তখন কিছু সংখ্যক লোক বলবে- তোমরা কি দেখো না যে, আমরা কি অবস্থার মধ্যে আছি? তোমরা এমন কাউকে দেখো যে, আমাদের ব্যাপারে তোমাদের রাবের কাছে সুপারিশ করবে। যাতে তিনি আমাদেরকে এই অবস্থা হেকে রেহাই দেন। তখন কিছু লোক জবাবে বলবে- তোমরা তোমাদের পিতা আদম এর কাছে যাও। তারা পর্যায়ক্রমে আদাম k-> নূহ্‌ k-> ইবরাহীম k-> মূছা k-> ‘ঈছা k এর কাছে যাবে। তারা প্রত্যেকেই এই ব্যাপারে সুপারিশ করার জন্য অপারগতা প্রকাশ করবেন। পরিশেষে তারা মুহাম্মাদ 1 এর কাছে যাবে। অতঃপর তিনি ছাজদাবনত হয়ে আল্লাহ্‌র (7 ) কাছে প্রার্থনায় মগ্ন হবেন। তখন আল্লাহ 0 বলবেন- আপনি প্রার্থনা করুন ও সুপারিশ করুন। সাহীহ্‌ বুখারী ও সাহীহ্‌ মুছলিম))
খ) স্বীয় চাচা আবূ ত্বালিবের জন্য করা রাছূলুল্লাহ্‌র (1) সুপারিশ।
গ) জান্নাতীদের জন্য সুপারিশ, যাতে তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে।

মাক্বামে মাহ্‌মূদ বলতে এই শাফা‘য়াতে ‘উজমাকেই বুঝানো হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রকারের শাফা‘য়াত হচ্ছে- সাধারণ শাফা‘য়াত। অনেকেই এই শাফা‘য়াতের অধিকারী হবেন। এই শাফা‘য়াতকেই শাফা‘য়াতে ‘আম আখ্যায়িত করা হয়। শাইখ সালিহ্‌ আল ফাওযান c এর মতে, শাফা‘য়াতে খাস ও ‘আম মোট ৮ প্রকার। তন্মধ্যে শাফা‘য়াতে ‘আম হল ৫ প্রকার। যেমন-

ক) গুনাহগার মু’মিনগণ কাবিরা গুনাহের কারণে জাহান্নামে নিপতিত হলে, তাদেরকে তা থেকে রক্ষা করার জন্য শাফা‘য়াত করা হবে।
খ) গুনাহগার মু’মিন যারা কাবিরা গুনাহের কারণে জাহান্নামে নিপতিত হওয়ার যোগ্য, তারা যেন তাতে নিক্ষেপিত না হন, সেজন্যও সুপারিশ করা হবে।
গ) জান্নাতীদের মর্যাদা যাতে আরো বাড়িয়ে দেয়া হয়, তজ্জন্য সুপারিশ করা হবে।
ঘ) মু’মিনদের মধ্যে যাদের সৎ ও অসৎ কর্ম সমান সমান, তাদের জন্য সুপারিশ করা হবে, যাতে তারা জাহান্নামে নিপতিত না হয়।
উপরোক্ত তিন প্রকার শাফা‘য়াতে খাস এবং চার প্রকার শাফা‘য়াতে ‘আম হবে ক্বিয়ামাতের দিনে। আর ৫ম প্রকার শাফা‘য়াতে ‘আম যা দুনিয়াতেই হয়েছে, তা হলো-
ঙ) রাছূলুল্লাহ 1 এর দু’আ যে, আল্লাহ 0 যেন তাঁর (1) উম্মাতের মধ্য হতে মোট ৭০ হাজারকে বিনা হিসেবে নাজাত দেন।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
১) রাছূলুল্লাহ-কে (1) যে শাফা‘য়াত সমূহ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, এগুলো কি একটির পর একটি সংঘটিত হবে? নাকি কিছু শাফা‘য়াতকে আল্লাহ 0 বিলম্বিত করবেন মিযান বা সীরাত্ব পর্যন্ত?
২) যাদেরকে আল্লাহ 0 শাফা‘য়াত করার তাওফীক্ব দান করবেন, তারা কি স্বীয় পরিবারের জন্য শাফা‘য়াত করতে পারবেন? যেমন- স্বীয় মা-বাবার জন্য?


১. মুছনাদুল ইমাম আহ্‌মাদ 
২. ছূরা আল বাক্বারা- ২৫৫ 
৩. ছূরা আল মুদ্দাছ্‌ছির- ৪৮ 
৪. সাহীহ্‌ মুছলীম)
শাইখ ‘উছাইমীন o বলেন, আবূ ত্বালিবের জন্য করা এই সুপারিশটি কেবলমাত্র রাছূলুল্লাহ 1 এর জন্যই নির্দিষ্ট। অন্য কোনো কাফিরের জন্য কোনো সুপারিশ প্রযোজ্য নয়। কারণ, আবূ ত্বালিব রাছূলুল্লাহ-কে (1) কাফির-মুশরিকদের কবল থেকে আগলে রেখেছেন এবং দ্বীনে ইছলামকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
৬) শাইখ ‘উছাইমীন o বলেন, আমরা শাফা‘য়াতকে প্রথমতঃ দুই ভাগে ভাগ করতে পারি- একটি হচ্ছে শাফা‘য়াতে সাহীহাহ, অপরটি হচ্ছে শাফা‘য়াতে বাত্বিলাহ।
কারো উপকার করার কিংবা অনিষ্ট দূর করার কোনো ক্ষমতা যে ব্যক্তির নেই, তাকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা বা তার নিকট শাফা‘য়াত কামনা করা হচ্ছে শাফা‘য়াতে বাত্বিলাহ। এই ব্যাপারে আল্লাহ 0 ইরশাদ করেছেনঃ-

وَيَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُولُونَ هَؤُلَاءِ شُفَعَاؤُنَا عِنْدَ اللَّهِ

অর্থাৎ- আর তারা আল্লাহকে ছেড়ে ‘ইবাদাত করে এমন কিছুর যা না পারে তাদের কোন ক্ষতি করতে, আর না পারে কোন উপকার করতে। আর তারা বলে, “ওগুলো আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশকারী”। ((ছূরা ইউনুছ- ১৮ 

৫. ছূরা ত্ব-হা- ১০৯ 
৬. ছূরা আল আম্বিয়া- ২৮ 
৭. ছূরা আন্‌ নাজম- ২৬ 

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close