এটি উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ (c) প্রদত্ত একটি ধারাবাহিক অডিও বক্তব্য। এতে তিনি আমাদের সমাজে নারীরা পারিবারিক, সামাজিক, বৈবাহিক ইত্যাদি নানামুখী যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, সেসবের কারণ নির্ণয়সহ ক্বোরআন ও ছুন্নাহ ভিত্তিক এর সঠিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া তাতে সন্তানদের সঠিক লালন-পালন, সুখী সংসার গড়ার উপায় ও পদ্ধতি এবং নারীদের বাইরে কাজ করার বিষয়ে সুষ্পষ্ট দিক-নির্দেশনা সম্বলিত চমৎকার আলোচনা করেছেন।
১) আল-মুহাব্বাহ বা ভালোবাসা প্রসঙ্গে আলোচনা।
২) একজন আরেকজনকে কেন ভালোবাসে? এই ভালোবাসার কারণটা কি?
৩) ভালোবাসার যে পরিপূর্ণ স্বাধ, মানুষ তা কখন পায় এবং কি ভাবে পায়?
৪) অবৈধ ভালোবাসা থেকে কিভাবে বেঁচে থাকা যায় এবং যারা অবৈধ ভালোবাসাকে আল্লাহর ভয়ে পরিত্যাগ করেন এবং এগুলো থেকে বেঁচে থাকেন, তাদের কিছু ঘটনা এবং তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে কী নি’মাত রয়েছে?
৫) প্রকৃত অর্থে ভালোবাসার পাত্র কে, আর কাকে ভালোবাসবো এবং কেন ভালোবাসবো?
৬) যে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসার পাত্র, তার ভালোবাসা কিভাবে পাওয়া যাবে এবং তার ভালোবাসা পাওয়ার উপায় কি?
ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:
ক) নারী অধিকার আন্দোলনের বর্তমান এই সময়ে আমাদের অবস্থান কেমন হওয়া চাই?
এটা বলা কি ঠিক যে, নারীবাদ বা নারীজাগরণ আর ইছলামের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, যেমনটা কতিপয় মুছলিম নারীবাদীরা বলে থাকেন?
মহিলাদের চাকরিজীবী হওয়া কি ইছলাম পরিপন্থী কাজ?
খ) السلام عليكم ورحمة الله
হাজ্জাজ বিন ইউছুফ কুসাইরের সাথে দেখা করলেন কেন? হাজ্জাজ বিন ইউছুফ কি কুসাইররের মাহ্রাম ছিলেন?
গ) অনেকেই যাকাত দিতে দেরি করে এবং চায় যে, যাকাত রামাযানের সময় দিতে। কারণ রামাযানের সময় যাকাত দিলে অধিক ছাওয়াব পাওয়া যাবে। এই সম্বন্ধে ইছলামের বিধান কি?
ঘ) কোন নারীর মধ্যে যদি দ্বীনদারী অনেক ভাল থাকে, কিন্তু সে পার্থিব বা সাংসারিক কাজ কর্মে অনেক বেশি উদাসীন থাকে, এই ক্ষেত্রে উছ্তায উক্ত নারীর প্রতি আপনার নাসীহা কি?
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন।
ঙ) দ্বীনদার নারী অসুন্দরী হওয়া সত্ত্বেও তার গুণকে ভালোবেসে বিয়ে করা; এটা কি ‘ইবাদাত ও ছাওয়াবের কাজ বলে গণ্য হবে?
আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে যে, আমাদের সমাজে ইছলামী ব্যাংকিং সত্যিকারের ইছলামী ব্যাংকিং কি-না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যারা বড় বড় ব্যবসায়ী, যাদের প্রচুর টাকার লেনদেন করতে হয়, যাদের ব্যাংকিং ছাড়া কোনো উপায় নেই, তারা সঠিক ইছলামী শারী‘য়াহ মেনে কিভাবে সঠিক ইছলামী ব্যাংকিং করতে পারে?
চ) ইমাম ছাজদায় থাকাকালীন আমি জামা‘আতে উপস্থিত হলে; সরাসরি কি তাকবীর দিয়ে ছাজদায় চলে যাবো? না-কি তাকবীর দিয়ে হাত বাঁধব, তারপর ছাজদায় যাবো?
ছ) ইমামকে রুকূ‘তে পেলে সেই রাক‘আতটা কি পুনরায় পড়তে হবে?
জ) ফার্য সালাতের পর তিনবার أستغفر الله (আছ্তাগফিরুল্লাহ) ও একবার الله أكبر (আল্লাহু আকবার) পড়তে হয়। কোনটা প্রথমে পড়ব?
ঝ) জামা‘আত চলাকালীন ৩য় বা ৪র্থ রাক‘আতে ছূরা ফাতিহা অর্ধেক পড়া হলো আর ইমাম রুকু‘তে চলে গেলেন, আমিও কি রুকু‘তে চলে যাব নাকি ছূরা ফাতিহা শেষ করে তারপর রুকু‘তে যাব?
ঞ) আমি দুই রাক‘আত তাহিয়্যাতুল মাছজিদ সালাত পড়ছি, এমন সময় ইক্বামাত দেয়া শুরু হলো, তাহলে আমি কি সালাতের সে অবস্থায় বসে পড়ব এবং ছালাম ফিরিয়ে ফার্য সালাতের জামা‘আতে অংশগ্রহণ করব? নাকি ২ রাক’আত পূর্ণ করে তারপর ফার্য সালাতের জামা‘আতে অংশগ্রহণ করব?
ট) ইমাম ডানে-বামে ছালাম ফিরিয়ে শেষ করার পর আমি ডানে-বামে ছালাম ফিরাই। এটা কি ছুন্নাহসম্মত ‘আমাল হচ্ছে?
ড) সালাতের সময় হাত কোথায় বাঁধব, বুকের উপরে নাকি নাভির নিচে? হানাফী মাযহাবের ‘আলিমরা বলেন যে, হাত দুটো বুকের উপর না বেঁধে নাভির নিচে বাঁধতে হবে। আপনি যদি হাদিছের আলোকে একটু বুঝিয়ে দিন।
ঢ) দ্বীন শিক্ষালাভের জন্য একজন নারী কি ফোন কিংবা অন্য কোন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে একজন ত্বালীবুল ‘ইলমের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন? যদি জায়িয হয় তবে এক্ষেত্রে শারী‘য়াতের নির্দেশনা কি? এক্ষেত্রে আমাদের ছালাফদের আদর্শ কিভাবে অনুসরণ করা যায়? সাধারণভাবে মহিলারা দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্রে কী পন্থা অবলম্বন করতে পারেন?
ণ) একজন ইমামের পিছনে যদি শুধু মহিলারা থাকে, তাহলে ওই সালাতের ইক্বামাহ কে দেবে?
ত) আমি প্রবাসে ওয়ার্কার হিসাবে আসি। কিন্তু আসার পরে আল্লাহ্র ইচ্ছায় একটু উপরে উঠে গেছি মানে অফিসিয়াল জব করি। তো এর প্রেক্ষিতে আমার অফিসে যে টয়লেট বা প্রস্রাবখানা আছে, সেখানে দাঁড়িয়ে প্রসাব করা লাগে। বসে প্রস্রাব করার কোন ব্যবস্থা নাই। যেহেতু প্যানগুলো উঁচু এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করায় আমার কি গুনাহ হচ্ছে?
আল্লাহ, আপনাদের মধ্যে বারাকাহ দান করুন।