এটি উছতায আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ (c) প্রদত্ত একটি ধারাবাহিক অডিও বক্তব্য। এতে তিনি আমাদের সমাজে নারীরা পারিবারিক, সামাজিক, বৈবাহিক ইত্যাদি নানামুখী যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, সেসবের কারণ নির্ণয়সহ ক্বোরআন ও ছুন্নাহ ভিত্তিক এর সঠিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া তাতে সন্তানদের সঠিক লালন-পালন, সুখী সংসার গড়ার উপায় ও পদ্ধতি এবং নারীদের বাইরে কাজ করার বিষয়ে সুষ্পষ্ট দিক-নির্দেশনা সম্বলিত অত্যন্ত সারগর্ভ আলোচনা রয়েছে। এই পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c বিশেষ করে মুহাব্বাহ বা ভালোবাসা সম্পর্কে আরো যেসব বিষয় আলোচনা করেছেন সেগুলো হলো:-
১) ভালোবাসা হলো আল্লাহ্র (0) সৃষ্টির মধ্যে একটি প্রাকৃতিক ও স্বভাবজাত বিষয়।
২) সর্বোত্তম ভালোবাসা হলো আল্লাহ্কে (7) ভালোবাসা এবং আল্লাহ্র (8) জন্যে ভালোবাসা।
৩) ভালোবাসা প্রকাশের সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি কী?
৪) আমাদের সর্ব্বোচ্চ ভালোবাসা পাওয়ার অধিকারী কে এবং কাকে ভালোবাসা আমাদের জন্য ওয়াজিব?
৫) কোন সৃষ্টিকে ভালোবাসতে হলে শর্ত কী, কিংবা কি শর্তে কোন সৃষ্ট বস্তুকে ভালোবাসা যায়?
৬) কোন সৃষ্ট বস্তুকে ভালোবাসতে যেয়ে কোন অবস্থাতেই আল্লাহ্র (7) নাফরমানী (অনানুগত্য) করা যাবে না।
৭) বর্তমান সমাজে কিছু লোক মানুষকে মিথ্যা, অনর্থক ও ভুল ভালোবাসা শিখাচ্ছে এবং এগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে জোরেশোরে প্রচার ও প্রসার করছে। উছতায বিভিন্ন বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।
ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:
ক) السلام عليكم ورحمة الله।
যে হাদীছে রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন যে, “তুমি ততক্ষণ পর্যন্ত (পরিপূর্ণ) মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তোমার কাছে তোমার প্রাণের চেয়েও অধিক প্রিয় হব”।
আমার প্রশ্ন হলো:- এই হাদীছের ভিত্তিতে রাছূলুল্লাহ 1 এর প্রতি আমাদের ভালোবাসা কিভাবে প্রদর্শন করা উচিত, অথচ আমরা একথা জানি যে, আমাদেরকে আল্লাহ্র প্রতি সর্বোচ্চ ভালোবাসা প্রদর্শন করতে হবে? কারো জন্য এভাবে বলা কি ঠিক হবে যে, “আমি আল্লাহ্কে এবং আল্লাহ্র রাছূলকে ভালোবাসি”? এ বিষয়টি উচ্চারণ করার এর চেয়ে উত্তম বা যথাযথ অন্য কোন উপায় আছে কী?
খ) السلام عليكم ورحمة الله وبركاته।
আল্লাহ উছতাযকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। উছতায এর নিকট আমার প্রশ্ন হলো- বর্তমানে আমরা প্রায়শই দেখি যে, অনেক মুছলমান অমুছলিমদের ধর্মীয় উৎসবগুলোতে যেয়ে থাকে এবং তারা বলে থাকে যে, এটা হলো তাদের অধিকার। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের এরূপ কাজ ও কথা কি ইছলাম ভঙ্গকারী বিষয় বলে গণ্য হবে? এটা কি বিধর্মীদের প্রতি ভালো্বাসা ও নম্রতা পোষণ বলে গণ্য হবে? এক্ষত্রে অজ্ঞতার অজুহাত কি গ্রহণযোগ্য হবে?
আল্লাহ আপনার মধ্যে বারাকাহ দান করুন।
গ) (স্থানীয় মাছজিদে সালাতের জামা‘আতের নির্ধারিত সময় জানা আছে, এরূপ ক্ষেত্রে) ছুন্নাত সালাত ঘরে আদায় করতে যেয়ে ফার্য সালাতে অংশগ্রহণে বিলম্ব করা যাবে কি?
ঘ) মূমিন ব্যক্তি থেকে যখন কোন পাপকাজ সংঘটিত হয়, তখন এর দ্বারা কি আল্লাহ্র 0 প্রতি তার ভালোবাসা হ্রাস পায়?
ঙ) السلام عليكم ورحمة الله।
‘ইশ্ক্ব বা প্রেম শব্দটা আল্লাহ বা রাছূলের প্রতি ব্যবহারের হুক্ম কি? কারণ আমরা শুধু সূফিদেরকেই এই শব্দটা ব্যবহার করতে দেখি, আহলুছ্ ছুন্নাহ ‘আলিমদের এই শব্দ আল্লার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে শুনি না। আর শুনেছি এই শব্দটার মধ্য শাহাওয়াত আছে। আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন, উছতাদ বলেছেন যে, সমস্ত ভালোবাসা আল্লার জন্যই হতে হবে। আমিও যাদের ভালোবাসী তাদের শুধু আল্লার জন্যই ভালবাসি। কিন্তু আজ দেখলাম একজন লিখেছেন “আমি ওনাকে আল্লাহ এবং রাছূলের জন্য ভালবাসি”। তাহলে এটা কি স্পষ্ট শির্ক হবে, না তাফসিল আছে?
চ) السلام عليكم।
মুছলিমরা জীবিকা নির্বাহের জন্য কোন কোন দিক উসূল (মূলনীতি) হিসাবে খেয়াল রাখবে? এই বিষয়ে কোন গাইডলাইন বা কোন বই পড়া যেতে পারে?
আল্লাহ আপনার মধ্যে বারাকাহ দান করুন।