ইহ পরকালে সফলতা ও মুক্তি লাভ করতে হলে রুবূবিয়্যাহ, উলূহিয়্যাহ এবং আছমা ও সিফাতে আল্লাহ্ একত্ব (তাওহীদ) অক্ষুন্ন রাখার সাথে সাথে অবশ্যই নিজের যাবতীয় কথা, কাজ, ‘আমাল-‘ইবাদাত ও ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাসকে ছোট বড়, প্রকাশ্য গোপনীয় সর্বপ্রকার শিরক থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত রাখতে হবে। তাওহীদ প্রতিষ্ঠা ও অক্ষুন্ন রাখার জন্য যেমন তাওহীদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে তেমনি র্শিক থেকে বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই র্শিক সম্পর্কে জানতে হবে। যেকোন ‘আমাল বা ‘ইবাদাত করতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহ্ (0) জন্যে আল্লাহ্ (0) সন্তুষ্টিলাভের নিমিত্ত এবং অবশ্যই সে ‘আমালটি করতে হবে রাছূলুল্লাহ 1 এর ছুন্নাহ অনুযায়ী। কেবল তাহলেই সে ‘আমালটি আল্লাহ্ (0) কাছে মাক্ববূল হওয়ার এবং তদ্বারা প্রতিদান লাভের আশা করা যেতে পারে, অন্যথায় তা কোন কাজে আসবে না। দেহের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেমন কিছু নিয়ম-পদ্ধতি আছে, তেমনি নাফ্ছের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম-পদ্ধতি রয়েছে। একটি মানবদেহ যেমন আকৃতি ও শক্তি সামর্থের দিক থেকে একসাথে পূর্ণতা বা পরিপক্কতা লাভ করতে পারে না, সঠিকভাবে খাদ্য-পুষ্টির যোগান এবং যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে তা ধীরে ধীরে পূর্ণতা ও পরিপক্কতা লাভ করে থাকে, তেমনি একটি নাফ্ছ্ও সঠিক তা‘লীম (শিক্ষা), তারবিয়াহ (পরিচর্যা), তাযকিয়াহ ও তাসফিয়াহ (পরিশুদ্ধি) এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে পূর্ণতা লাভ করে থাকে। আপনি যদি সত্যিকার অর্থে আপনার নাফ্ছকে প্রহরা দিতে চান, একে রক্ষা করতে চান তাহলে আপনাকে নিম্নোক্ত ক্রমানুযায়ী ৬টি কাজ করতে হবে। তাহলে আল্লাহ্ চাহে তো আপনার নাফ্ছ কু-প্রবৃত্তি ও শাইত্বান থেকে বেঁচে থাকতে এবং আল্লাহ্ (0) সন্তুষ্টি ও তাঁর খাঁটি গোলামির উপর অটল ও অবিচল থাকতে পারবে। (১) মুশারাত্বাহ (২) মুরাক্বাবাহ (৩) মুহাছাবাহ (৪) মু‘আক্বাবাহ (৫) মুজাহাদাহ (৬) মু‘আতাবাহ। সাবধান! সমাজে স্বঘোষিত তথাকথিত এমন অনেক পীর, শাইখ, ‘আলিম বা দা’য়ী রয়েছে, যারা মানুষের ইহপরকালের মুক্তি এবং জান্নাতে পৌঁছে দেয়ার ঠিকা বা চুক্তি গ্রহণ করে থাকে। প্রকৃত অর্থে এরা নিজেরা চরমভাবে পথভ্রষ্ট এবং অন্যকেও পথভ্রষ্টকারী, প্রতারক। দুন্ইয়া কামানোই তাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আমাদের সমাজে এদের সংখ্যাই বেশি। তাই নিজের দ্বীন ও ঈমান রক্ষা করতে হলে এদের ব্যাপারে পুরোপুরি সতর্ক ও সাবধান থাকবেন এবং দ্বীনী (ধর্মীয়) বিষয়ে কাউকে অনুসরণ করার পূর্বে অবশ্যই সেই লোকের ‘আক্বীদাহ, মানহাজ, ‘আমাল ও আখলাক্ব সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে ও যাচাই-বাছাই করে নেবেন। নতুবা পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যাবে। ইমাম ইবনুছিরীন (o) যথার্থই বলেছেন: অর্থ- এই ‘ইলম হচ্ছে দ্বীন, সুতরাং তোমরা দেখে নাও কার থেকে তোমরা তোমাদের দ্বীন গ্রহণ করছ। (আল্লাহ্ 0 আমাদেরকে নিজেদের দ্বীন ও ঈমান যথাযথভাবে রক্ষার তাওফীক্ব দান করুন, আ-মী-ন )।
আপনি বই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য eshodinshikhi@gmail.com তে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা কল করুন:
সিলেট : +৮৮০১৭২৭ ০৫ ৩৫ ৮৪
ঢাকা: +৮৮০১৯৭৮ ১৪ ২৯ ১৪
আমেরিকা: +১৩৪৭ ৮৩৫ ১৫০৭