আল ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত আল ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী রচিত -‘আক্বীদাহ সংকলন- গ্রন্থ (১৯তম পর্ব)

এই অডিওটি হলো আশ্‌শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ্‌ আল ‘উছাইমীন o কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত ইমাম ইবনু ক্বোদামাহ আল মাক্বদিছী o রচিত সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ “লুম‘আতুল ই‘তিক্বাদ” এর ধারাবাহিক অডিও ভাষান্তর। বাংলা ভাষায় অডিওরূপে এটি ভাষান্তর করেছেন উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c । এতে ছালাফে সালিহীনের (4) ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাসের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। আহলুছ্‌ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘উলামায়ে কিরামের চিরাচরিত স্বভাব–বৈশিষ্ট্যও হলো যে, তারা তাদের লিখনীর মাধ্যমে সর্বাগ্রে বিশুদ্ধ ইছলামী ‘আক্বীদাহ্‌র সংরক্ষণ এবং তা প্রচার ও প্রসার করে থাকেন। ভাষান্তরিত বক্তব্যের এ পর্বে উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c নিম্নোক্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন:-
১) পূর্ববর্তী ক্লাসের সংক্ষিপ্ত পূণঃআলোচনা।
২) ‘উলামায়ে কিরামের ভুলত্রুটি এবং তাদের কিতাবাদিতে প্রাপ্ত ভুলত্রুটির ব্যাপারে ছালাফে সালিহীনের (p) অনুসৃত নীতি কি ছিল, উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c এই বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করেছেন।
৩) ইমাম ইবনু হাজার ‘আছক্বালানী, ইমাম নাওয়াওয়ী এবং অন্যান্য আয়িম্মায়ে কিরামের (p) কিতাবাদিতে যেসব ভুলত্রুটি রয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে ‘উলামায়ে কিরামের অনুসৃত নীতি——।
৪) যারা আল্লাহ্‌র (8) ঊর্ধ্বাকাশে বা সর্ব উপরে অবস্থানকে অস্বীকার করে, তাদের সাথে আচরণ কেমন হওয়া উচিত?
৫) যারা আল্লাহ্‌র (0) ঊর্ধ্বাকাশে বা সর্ব উপরে অবস্থানকে অস্বীকার করে, তাদেরকে ঢালাওভাবে কাফির আখ্যায়িত করার ব্যাপারে আমাদেরকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শাইখ বিষয়টি চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
৬) জাহমিয়াহ সম্প্রদায় কর্তৃক আল্লাহ্‌র (8) ঊর্ধ্বাকাশে বা সর্ব উপরে অবস্থানকে অস্বীকার এবং তাদের অন্যান্য নীতি ও বৈশিষ্ট্য।
৭) আল্লাহ্‌র (7) ঊর্ধ্বাকাশে বা সর্ব উপরে অবস্থানকে যারা অস্বীকার করে, তাদের সম্পর্কে ইমাম আবূ হানীফাহ o এর সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও তার ব্যাখ্যা।
৮) যারা আল্লাহ্‌র (0) ঊর্ধ্বাকাশে বা সর্ব উপরে অবস্থানকে অস্বীকার করে, আহলুছ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ একদিকে তাদের এই কাজকে কুফ্‌র সাব্যস্ত করেন অপরদিকে অস্বীকারকারিদের কাফির বলার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করেন, বিষয় দু’টো কি পরস্পর সাংঘর্ষিক নয়? উছতায হাম্মাদ বিল্লাহ c বিষয়টি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
৯) যারা দ্বীনী জ্ঞান ছাড়াই অন্যকে কাফির ফাতওয়া দিয়ে থাকে, তাদের প্রতি কঠোর সতর্কবাণী।

 

ক্লাস শেষে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করা হয়:-
ক) السلام عليكم ورحمة الله وبركاته। নু‘মান ‘আলী খান নামে জনৈক আমেরিকান রয়েছেন যিনি জন্মসূত্রে পাকিস্তানী এবং “ইউটিউব বক্তা” হিসেবে বেশ পরিচিত। তিনি আল্লাহ্‌র গুণাবলী সম্পর্কিত তাওহীদী ‘আক্বীদাহ এবং ঈমান বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নসমূহকে তুচ্ছজ্ঞান করেন। তিনি তার শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে এমনও বলেন যে, “আল্লাহ কোথায় আছেন” এরূপ প্রশ্ন মোটেই কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নয়। তিনি যুক্তি উপস্থাপন করেন যে, এরূপ প্রশ্ন স্বয়ং আল্লাহ, তাঁর রাছূল কিংবা সাহাবায়ে কিরাম করেননি, সুতরাং এ জাতীয় বিষয়কে হত্যা করা (এ ধরনের প্রশ্ন ও বিষয়গুলো পরিপূর্ণরূপে উপেক্ষা করা) প্রয়োজন। শাইখ! উক্ত ব্যক্তি এবং তার কথাবার্তার ব্যাপারে আপনার মতামত কি? আর যারা তার বক্তৃতা শুনে সেই সকল মুছলিম যুবাদের প্রতি আপনার উপদেশ কি?
খ) চট্রগ্রামে আমাদের কতিপয় দ্বীনী ভাই; নিজেদেরকে হানাফী বলে দাবিদার ইমামদের পিছনে জামা‘আতে সালাত পরিহার করেন। শাইখ! এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?
গ) ক্বোরআনে কারীমে ছূরা আয্‌ যুমারের ৬৭নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে যে, ক্বিয়ামাতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে আল্লাহ্‌র (b) হাতের মুঠোতে, আর আকাশসমূহ ভাঁজ করা থাকবে তাঁর ডান হাতে।
আমার নিকট ক্বোরআনে কারীমের একটি বাংলা সংস্করণ রয়েছে, যেখানে উক্ত আয়াতে উল্লেখিত “হাতের মুষ্ঠি” এবং “ডান হাত” এ দু’টি গুণবাচক শব্দের তা’ওয়ীল (অপব্যাখ্যা) করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ক্বোরআনের এরূপ অর্থানুবাদ সংস্করণ কি আমাদের পড়া উচিত?

Subscribe to our mailing list

* indicates required
Close