এটি মুহ্তারাম আশ্ শাইখ সালিহ্ আল ফাওযান c কর্তৃক আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের প্রখ্যাত ইমাম- ইমাম আল বারবাহারী o এর অনবদ্য গ্রন্থ “শারহুছ্ ছুন্নাহ” এর অতি চমৎকার ও মূল্যবান ব্যাখ্যাগ্রন্থের অডিও ভাষান্তর। এতে ইছলামের মৌলিক বিষয়াদী, সঠিক ইছলামী ‘আক্বীদাহ ও মানহাজ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলা ভাষায় গ্রন্থটি ধারাবাহিকভাবে অডিও ভাষান্তর করছেন শাইখ আবূ ছা‘আদা হাম্মাদ বিল্লাহ c। এ পর্বে শাইখ নিম্নোক্ত বিষয়াদী সম্পর্কে আলোচনা করেছেন:-
১) যে ভিত্তির উপর জামাআহ প্রতিষ্ঠিত, সেই ভিত্তি হলেন রাছূলের (1) সাহাবায়ে কিরাম (4)। তারাই হলেন আহলুছ্ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ। সুতরাং যে কেহ তাদের থেকে দ্বীন গ্রহণ করবে না সে-ই হবে পথভ্রষ্ট এবং বিদ‘আত অবলম্বনকারী। আর (দ্বীনের মধ্যে) প্রতিটি বিদ‘আতই হলো গোমরাহী বা ভ্রষ্টতা এবং প্রতিটি ভ্রষ্টতা ও তা অবলম্বনকারীদের গন্তব্য হলো জাহান্নাম।
২) কোন জামা‘আতের সঙ্গে আমাদের সুদৃঢ়ভাবে থাকা উচিত?
৩) জামা‘আতের ভিত্তি কি?
৪) যে জামা‘আতের সঙ্গে না থাকলে আমরা বিপথগামী হয়ে যাব, সেই জামা‘আত কোনটি ?
৫) সাহাবায়ে কিরামের (4) ফাযীলাত বা মান-মর্যাদা
৬) সাহাবায়ে কিরামকে (4) যারা মন্দ বলে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করা আবশ্যক। কেননা তারা এক চরম মন্দ উদ্দেশ্যে তা করে থাকে।
৭) জাহমিয়াহ সম্প্রদায়; যারা আল্লাহ্র (0) নাম ও গুণাবলীকে অস্বীকার করে তারা কুফ্র করে। তাদেরকে প্রত্যা্খ্যান করা আবশ্যক।
আলোচনান্তে তিনি নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করেছেন-
১। ছূরা আর্রা‘দ এর ৩৮ ও ৩৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যা কী ?
২। ক্বোরআনে কারীমের কোন আয়াত পড়ার আগে আ‘ঊযুবিল্লাহ পাঠ করা কি ছুন্নাত?
৩। যদি কেউ কোন বিষয়ে এমন দালীল পেশ করে যার ব্যাখ্যা আমাদের জানা নেই, তাহলে সেক্ষেত্রে আমরা কি সেই দালীলের বাহ্যিক অর্থটা গ্রহণ করব?
৪। যে ব্যক্তি কোন এলাকায় লোকদের নিকট সাহীহ্ দা‘ওয়াহ পৌঁছানোর জন্য কিছু বিদ‘আত চর্চা করে যাতে সে ঐ এলাকার লোকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা না হারায়, এরূপ নীতি বা মানহাজ কি গ্রহণযোগ্য? যদি এটি ঠিক না হয়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে আমাদের কিভাবে নাসীহাত করা উচিত?
৫। ইবনু তাইমিয়াহ o এর একটা ফাতওয়া আছে যাতে তিনি বলেছেন:- “ইমাম যে সকল লোককে সালাত পড়াবেন, তিনি যেন তাদের মত সালাত পড়ান” (এরকম কোন একটি ফাতাওয়া)। এই ফাতওয়ার ভিত্তিতে কেউ যদি ঐ এলাকার লোকদের মত করে সালাত পড়ায় কিংবা “বড় ফিতনার মোক্বাবিলায় অপেক্ষাকৃত ছোট ফিতনা গ্রহণ করা” এই যুক্তির ভিত্তিতে কিছু কিছু বিদ‘আত চর্চা করে এবং বলে যে, আমি যদি এখানে ইমামতি ছেড়ে দেই তাহলে হয়ত একজন কট্রর বা পূর্ণ মুবতাদি‘ ইমাম হয়ে আসতে পারে, এছাড়া ঐ লোকটির চাকরি হারানোরও ভয় থাকে, সবমিলিয়ে এমতাবস্থায় আমরা ঐ ব্যক্তিকে কিভাবে বা কি বলে নাসীহাত করব?
৬। কেউ যদি আল্লাহ্র (0) অস্তিত্বে বিশ্বাসী হয়, কিন্তু নিজের ইমামকে অন্ধভাবে অনুসরণ করতে যেয়ে আল্লাহ্র (0) সিফাতকে অস্বীকার করে, তাহলে এটা কি মুছলমানকে কাফিরে পরিণতকারী বিদ‘আত বলে গণ্য হবে?
৭। যখন উলামায়ে কিরাম কোন দলকে তাকফীর করেন (যেমন বর্তমানে যে দলগুলোকে করেছেন), তখন যদি কেউ তা গ্রহণ না করে, তাহলে সেই ব্যক্তি কি তাকফীরকৃত দলের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে?