শাইখ হাম্মাদ বিল্লাহ c কর্তৃক এই অডিও বক্তৃতাটি হলো মূলত ইমাম ইবনুল ক্বায়্যিম o প্রণীত -‘উদ্দাতুস্ সাবিরীন ওয়া যাখীরাতুশ্ শাকিরীন- নামক কিতাবের ভাষান্তর। গ্রন্থকার ইছলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে -সাব্র বা ধৈর্য্য, অধৈর্য্য এবং শুক্র বা কৃতজ্ঞতা- এ ক‘টি গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনী বিষয়ের অনুশীলনমূলক কাঠামো এবং এগুলোকে কিভাবে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে সংযুক্ত ও রপ্ত করা যায়, সেসব বিষয়ে অত্যন্ত চমৎকার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিয়েছেন। গ্রন্থখানি ছয় শতাব্দী পূর্বে লিখা হলেও এর বিষয়-বস্তু অত্যন্ত সময় উপযোগী এবং বর্তমান বাস্তবতার সাথে অতি প্রাসঙ্গিক। ভাষান্তরিত বক্তব্যে শাইখ হাম্মাদ বিল্লাহ c নিম্নোক্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন:-
১) ৩নং ক্লাসে উল্লেখিত সাব্রের প্রকার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পূণঃআলোচনা।
২) কুমনোবৃত্তি বা প্রবৃত্তির কুতাড়নার মোক্বাবিলায় দ্বীনী প্রেরণা বা তাড়নার অবস্থা তিন প্রকার। তন্মধ্যে দুই প্রকার অবস্থা সম্পর্কে ইতোমধ্যে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। এখানে তৃতীয় প্রকার অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে-
(তিন) দ্বীনী তাড়না ও প্রেরণা এবং কুমনোবৃত্তি বা প্রবৃত্তির তাড়না এ দু‘য়ের মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। কখনো দ্বীনী তাড়না ও প্রেরণা বিজয়ী হবে কখনো কুমনোবৃত্তি বা প্রবৃত্তির তাড়না জয়ী হবে। তবে জয় পরাজয়ের সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। কোনটি অধিকবার জয়ী হতে পারে আবার কোনটি কম সংখ্যকবার জয়ী হতে পারে। অধিকাংশ মো’মিন, যারা ভালো কাজের সাথে মন্দ কাজও করে থাকেন, ভালোর সাথে মন্দের সংমিশ্রণ করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রেই এরূপ অবস্থা হয়ে থাকে।
৩) উপরোক্ত তিন অবস্থার ভিত্তিতে পরকালেও মানুষের অনুরূপ তিন অবস্থা হবে। কিছু মানুষ চিরকালের জন্য জান্নাতে প্রবেশ করবে, জাহান্নামে নিপতি হবে না। কিছু মানুষ চিরদিনের জন্য জাহান্নামে প্রবেশ করবে। আর কিছু লোক প্রথমে (একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য) জাহান্নামে প্রবেশ করবে অতঃপর তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।
৪) ধৈর্যধারণ প্রকৃতির ভিন্নতা:- কেউ অনেক কষ্টে সাব্র বা ধৈর্যধারণ করে থাকে, কেউ অতি সহজে ধৈর্যধারণ করে থাকে।
আল্লাহ্র সৈনিক এবং শাইত্বানের সৈন্যদের মধ্যে যুদ্ধের ক্ষেত্রে তা-ই দেখা যায়। কখনো দেখা যায়- আল্লাহ্র সৈনিকেরা সহজেই শাইত্বান বাহিনীকে পর্যুদস্ত ও পরাজিত করে ফেলছেন আবার কখনো দেখা যায়- শাইত্বান বাহিনীকে পরাজিত করতে তাদের অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে।
৫) ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাছ‘ঊদ 3 থেকে বর্ণিত একটি ঘটনা যে, ‘উমার 3 মল্লযুদ্ধে এক জিনকে পরাজিত করেছিলেন।
৬) ইবনু আবিদ্ দুন্ইয়া (o) বর্ণিত, দুই শয়তানের কথোপকথনের ঘটনা।
৭) যে ব্যক্তি ধৈর্যধারণে যতবেশি অভ্যস্ত হয় শত্রু তাকে ততবেশি ভয় পায়। আর যার কাছে সাব্র বা ধৈর্যধারণ দুঃসহ ও কঠিন মনে হয়, শত্রু তার প্রতি লালায়িত থাকে এবং তার যে কোন মূহুর্তে শত্রুর শিকারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভাষান্তরকালীন বক্তৃতা শেষে যেসব প্রশ্ন উপস্থাপন করা হয়েছিল সেগুলো নিম্নরূপ:-
১) যদি কেউ ইছলামের কোন বিষয় নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করে, তাহলে সে কি কুফ্র করল? আমরা তার সম্পর্কে কী ধারণা-বিশ্বাস পোষণ করব? আমরা কি তার মধ্যে মুনাফিক্বী চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে মনে করব? আমরা তাকে কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে নাসীহাত দেব?