“لا اله إلا الله” এই কালিমাহ্টি শুধু মুখে উচ্চারণ করলেই মুছলমান হওয়া যায় না, কিংবা শির্কমুক্ত হওয়া যায় না। মুনাফিক্বরা তাওহীদের এই বাক্য বা কালিমাহ্টি মুখে স্বীকার করতো, কিন্তু এতদসত্ত্বেও তাদের ঠিকানা হলো জাহান্নামের সর্বনিকৃষ্ট স্তরে। কেননা তারা এ কালিমাহ্কে অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করেনি এবং এর দাবি ও চাহিদানুযায়ী ‘আমাল করেনি।
ইয়াহুদীরাও এ কালিমাহ্টি মুখে স্বীকার করত, কিন্ত অন্তর দিয়ে বিশ্বাস এবং এ কালিমাহ্র দাবি ও চাহিদানুযায়ী ‘আমাল না করার কারণে তারা জঘন্যতম কাফির-মুশরিক বলে পরিগণিত।
এই উম্মাতের মধ্যেও যারা বিভিন্নভাবে অলী-আউলিয়া, জিন, ক্বব্র, গাছ-পালা ইত্যাদি; গায়রুল্লাহ্র (আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর) উপাসনা করে থাকে, তাদের অবস্থাও মুনাফিক্ব ও ইয়াহুদীদের মতই। কেননা যদিও তারা মুখে “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ” স্বীকার করছে তবে কথায়, কাজে ও অন্তরে তারা এই কালিমাতুশ্ শাহাদাহ্’র তথা তাওহীদের এই বাক্যটির সুস্পষ্ট বিরোধিতা করছে। তাই মুছলমান হতে হলে মুখ দিয়ে স্বীকার করার সাথে সাথে এই কালিমাহ্র সাতটি শর্ত (কোন কোন ‘উলামায়ে কিরাম বলেছেন আটটি শর্ত) একত্রে; একই সাথে পূরণ করতে হবে। তা হলেই কেবল প্রকৃত অর্থে মুছলমান হওয়া যাবে।